| ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২

জমির খতিয়ানে ভুল হলে যা করবেন!

জাতীয় ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৫ অক্টোবর ৩১ ১৬:১৩:২৭
জমির খতিয়ানে ভুল হলে যা করবেন!

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাম, দাগ বা অংশ লিখতে ভুল হলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দপ্তরে আইনি প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ

জমির খতিয়ানে নানা ধরনের ভুল, যেমন— নামের বানানে ভুল, দাগ নম্বরের গরমিল, অংশ বা হিসেব লিখতে ভুল, এমনকি প্রতারণার মাধ্যমে অন্য কেউ জমি নিজের নামে নামজারি করে নেওয়ার মতো সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। এসব সমস্যার আইনি সমাধান প্রক্রিয়াগতভাবে জটিল ও সময়সাপেক্ষ হলেও, এর সহজ উপায় রয়েছে।

খতিয়ান সংশোধনের সহজ উপায়: 'মিস কেস' আবেদন

ভূমি মন্ত্রণালয় ২০২১ সালের ২৯ জুলাই প্রকাশিত একটি গেজেট (রেকর্ড সংশোধন পরিপত্র নং ৩৪৩) অনুযায়ী, জমির খতিয়ানে করণিক ভুল থাকলে তা সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। এর জন্য:

১. আবেদন: সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসিল্যান্ড বরাবর একটি 'মিস কেস' আবেদন করতে হবে।

২. ফি ও নথি: সাধারণ সাদা কাগজে আবেদন করে ২০ টাকার কোর্ট ফি দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে।

এসিল্যান্ড ১৯৫০ সালের স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেনান্সি অ্যাক্ট-এর ১৪৩ ধারা এবং ১৯৫৫ সালের প্রজাস্বত্ব বিধিমালার ২৩(৩) ধারা অনুযায়ী, নাম, অংশ বা দাগের মতো করণিক ভুলগুলো সংশোধন করে থাকেন।

প্রতারণা করে নামজারি হলে করণীয়

যদি কেউ জালিয়াতি করে আপনার নামে থাকা জমি নিজের নামে খারিজ বা নামজারি করে নেয়, তবে একইভাবে এসিল্যান্ড মহোদয়ের কাছে 'মিস কেস' দিয়ে বাতিলের আবেদন করা যায়। প্রয়োজনীয় শুনানি ও যাচাই শেষে তিনি প্রতারণামূলক নামজারি বাতিল করে পুরনো মালিকের নামে খতিয়ান ফিরিয়ে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে বিধিমালার ২৩(৪) ধারা অনুসারে তদন্ত ও শুনানির মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

খতিয়ান হারিয়ে গেলে নতুন কপি সংগ্রহ

যদি নামজারি বা খারিজ খতিয়ানের মূল কপি হারিয়ে যায়, তবে তা পুনরুদ্ধারেরও সুযোগ আছে:

* প্রথমে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে।

* জিডির কপি এবং ২০ টাকার কোর্ট ফিসহ এসিল্যান্ড বরাবর আবেদন করতে হবে।

* প্রমাণ সাপেক্ষে নতুন খতিয়ানের আদেশ দেওয়া হয়।

* মাত্র ১০০ টাকা ফি দিয়ে ডিসিআর (DCR) রশিদ সহ নতুন খতিয়ান সংগ্রহ করা যায়।

> দ্রষ্টব্য: নামজারি ছাড়া অন্য জরিপের (যেমন এস.এ., সি.এস., আর.এস., বিএস) খতিয়ান হারিয়ে গেলে মৌজা ও খতিয়ান নম্বর জানিয়ে জেলা প্রশাসকের রেকর্ড রুমে আবেদন করে তা সংগ্রহ করা সম্ভব।

সংশোধন প্রক্রিয়ার সময়সীমা ও ধাপ

নামজারি সংশোধনের পুরো প্রক্রিয়াটি সাধারণত ৩০ থেকে ৪৫ দিন সময় নেয়। এই প্রক্রিয়ার ধাপগুলো হলো:

* আবেদন জমা দেওয়া।

* ইউনিয়ন ভূমি অফিসে প্রতিবেদন চাওয়া।

* প্রতিবেদন আসার পর সংশ্লিষ্ট পক্ষকে শুনানিতে ডাকা।

* কোনো আপত্তি না থাকলে সংশোধনের আদেশ জারি করা।

* সংশোধিত খতিয়ান প্রস্তুত ও আবেদনকারীকে হস্তান্তর।

মাঠ পর্যায়ে ভোগান্তি

দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সরকার সহজ আইনি পদ্ধতি দেখালেও, বাস্তবে অনেক সময় এসিল্যান্ড অফিস এই ধরনের সংশোধনের দায়িত্ব নিতে চায় না। নিয়মের ব্যাখ্যা দিয়ে অনেককেই আদালতের পথে যেতে বলা হয়। এতে সাধারণ মানুষ, যারা আইন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন, তারা হয়রানির শিকার হন।

ভুক্তভোগীদের দাবি, সরকার গেজেট অনুযায়ী যে সহজ পদ্ধতি দেখিয়েছে, তা যেন মাঠ পর্যায়ে সঠিকভাবে ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়, যাতে ভূমি অফিসে গিয়ে সাধারণ মানুষকে বারবার হয়রানির শিকার হতে না হয়।

আশা/

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

তৃতীয় টি-টোয়েন্টির জন্য নতুন করে দল ঘোষণা করল বিসিবি

তৃতীয় টি-টোয়েন্টির জন্য নতুন করে দল ঘোষণা করল বিসিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ইতোমধ্যেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। ...

হাসপাতালে ভর্তি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

হাসপাতালে ভর্তি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় দলের সাবেক অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ...

ফুটবল

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে বড় রদবদল; একাদশে একাধিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা!

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে বড় রদবদল; একাদশে একাধিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা!

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ দলে বড় ধরনের পরিবর্তনের ...

আবারও কমলো সোনার দাম

আবারও কমলো সোনার দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক দিনের ব্যবধানে আবারও দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স ...