ভূমি আইনে আসছে বড় পরিবর্তন: বাতিল হচ্ছে ৭ ধরনের দলিল
নিজস্ব প্রতিবেদক: ভূমি সংক্রান্ত জালিয়াতি, প্রতারণা ও অবৈধ দখল ঠেকাতে বাংলাদেশে খুব শিগগিরই ‘ভূমি ব্যবহার স্বত্ব আইন’ এবং ‘ভূমি অপরাধ, প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’ নামে দুটি নতুন আইন প্রণীত হতে চলেছে। এই নতুন আইনের আওতায় সাত (৭) ধরনের দলিল বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে এবং জালিয়াতদের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
যে ৭ ধরনের দলিল বাতিল হবে
নতুন আইন কার্যকর হলে জমি সংক্রান্ত যেসব দলিল বাতিল বলে গণ্য হবে এবং কেন সেগুলো বাতিল হবে, তা নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. রেজিস্ট্রিবিহীন দলিল: যে কোনো জমি ক্রয়-বিক্রয়, হেবা (দান) বা বাটোয়ারা সংক্রান্ত দলিল অবশ্যই সাব-রেজিস্ট্রার অফিসারের বৈধ সিল ও স্বাক্ষর সহকারে রেজিস্ট্রি করতে হবে। রেজিস্ট্রিবিহীন বা শুধু স্ট্যাম্পে লেখা কোনো দলিলই আর আইনগত মূল্য পাবে না।
২. মেয়াদোত্তীর্ণ বায়না দলিল: জমি কেনার উদ্দেশ্যে করা বায়নাপত্র দলিল এখন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে অবশ্যই রেজিস্ট্রি করতে হবে। নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে রেজিস্ট্রি না হলে সেই বায়না দলিল বাতিল বলে গণ্য হবে।
৩. প্রতারণামূলক দান/হেবা দলিল: অন্যের জমি জোরপূর্বক দখল করে বা প্রতারণার মাধ্যমে কোনো হেবা, দান বা বিক্রয় দলিল তৈরি করা হলে, সেই দলিল কার্যকর হবে না এবং তা বাতিল বলে গণ্য হবে।
৪. জাল দলিল/খতিয়ান: যদি সাব-রেজিস্ট্রি বা ভূমি অফিসের আসল নথি পুড়ে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে কেউ কোনো জাল দলিল বা খতিয়ান তৈরি করে, তবে তা বাতিল করা হবে।
৫. অসম্পূর্ণ বা ত্রুটিপূর্ণ তথ্যযুক্ত দলিল: বিক্রয়কৃত জমির পূর্ণ বিবরণ, দাতা-গ্রহীতার পিতা-মাতার নাম-ঠিকানা, সাম্প্রতিক রঙিন ছবি এবং জমির ২৫ বছরের অতীত মালিকানার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দলিলে সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে। এই তথ্যে বড় ধরনের ঘাটতি বা ভুল থাকলে দলিল বাতিল হতে পারে।
৬. বিক্রেতার সঠিক হলফনামা না থাকা: জমি বিক্রির সময় বিক্রেতাকে হলফনামা দিতে হবে যে তিনি নিজেই জমির প্রকৃত মালিক এবং এই জমি অন্য কেউ বিক্রি করেনি। এই হলফনামা ছাড়া দলিল আইনত অকার্যকর হবে।
৭. আদালতের মাধ্যমে বাতিলযোগ্য দলিল: হেবা, দানপত্র, ঘোষণাপত্র ইত্যাদি সম্পত্তি হস্তান্তরের দলিল রেজিস্ট্রি অফিসে ‘বাতিলকরণ দলিল’ দিয়ে বাতিল করা যায় না। যদি এমন চেষ্টা করা হয় বা অন্য উপায়ে বাতিল করা হয়, তবে তা অকার্যকর থাকবে। এসব দলিল বাতিল করতে আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া ও শাস্তি
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় কঠোরতা:
* জমির চারদিকের সীমানা ও নকশা দলিলে থাকা বাধ্যতামূলক।
* জমির পর্চায় ধারাবাহিক মালিকানা সংক্রান্ত তথ্য উল্লেখ করতে হবে।
* বিক্রেতা দেবেন ভ্যাট ও উৎসে কর। ক্রেতার দায়িত্বে থাকবে অন্যান্য কর।
শাস্তি ও আইনের প্রভাব:
নতুন আইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, জমি সংক্রান্ত অপরাধকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা।
* জাল দলিল তৈরি বা ব্যবহার করলে শাস্তি: সর্বনিম্ন ৩ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড দেওয়া হবে।
* এই আইন জালিয়াতি ও বেআইনি দখলের জন্য দোষীদের সরাসরি ফৌজদারি শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করে জমি সংক্রান্ত প্রতারণা ও জালিয়াতি রোধ করবে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বিএনপির ২৩ আসনে মনোনয়ন পরিবর্তনের ইঙ্গিত, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ২২ নভেম্বর
- নতুন পে-স্কেল নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলে গেল
- পে-স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল
- আজ রাত ৮টায় বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ, মোবাইলে যেভাবে দেখবেন
- সহজে যেভাবে দেখবেন বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ
- ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, ব্রাজিল বনাম ফ্রান্স: জেনেনিন ফলাফল
- শেখ হাসিনার রায়ের পর ভাইরাল কাদের মোল্লার সেই চিঠি: কী ছিল তাতে
- বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা চালু করলো ভারত
- আজকের সোনার বাজারদর: ১৮ নভেম্বর ২০২৫
- নাটকীয় টাইব্রেকারে শেষ ফ্রান্স বনাম ব্রাজিলের খেলা, দেখুন ফলাফল
- সোনার দামে বড় পতন: ভরিতে কমলো ৭ হাজার
- বাড়ছে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা
- নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা চূড়ান্ত করতে সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে কমিশন
- চলছে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা বাংলাদেশ-ভারত: সরাসরি দেখুন এখানে
- দেশে টানা ২ দফায় স্বর্ণের দামে বড় পতন
