বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মোড় দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ
নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে 'দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ' (Bicameral Parliament) পদ্ধতি নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনার এই প্রস্তাবটি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বুদ্ধিজীবী মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হলো উচ্চকক্ষ (Upper House) ও নিম্নকক্ষ (Lower House) নামে দুটি পৃথক কক্ষ।
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ কী?
যে দেশের আইনসভা দুটি ভিন্ন কক্ষে বিভক্ত থাকে, তাকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ বলা হয়। এই পদ্ধতি বিশ্বের অনেক গণতান্ত্রিক দেশে প্রচলিত।
* নিম্নকক্ষ: এটি হলো সংসদের সেই অংশ, যেখানে সদস্যরা সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। বর্তমানে আমাদের জাতীয় সংসদ এই নিম্নকক্ষ হিসেবে কাজ করে। এর প্রধান কাজ আইন প্রণয়ন ও সরকারের কার্যক্রম তদারকি করা।
* উচ্চকক্ষ: এটি দ্বিতীয় কক্ষ, যার সদস্যরা সাধারণত জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন না। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ, বা সমাজের বিশিষ্টজনদের মধ্য থেকে মনোনীত বা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হতে পারেন। এই কক্ষের প্রধান দায়িত্ব নিম্নকক্ষ দ্বারা পাস হওয়া আইনগুলো পর্যালোচনা করা এবং প্রয়োজনে তাতে সংশোধন আনা।
কেন এই আলোচনা?
বর্তমানে বাংলাদেশে এককক্ষবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। তবে, নতুন করে উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাবের পেছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে:
* ক্ষমতার ভারসাম্য: সমালোচকদের মতে, একটি উচ্চকক্ষ থাকলে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আরও বেশি যাচাই-বাছাই ও বিতর্কের সুযোগ তৈরি হবে। এর ফলে দ্রুত বা আবেগপ্রবণ কোনো সিদ্ধান্ত কার্যকর করা কঠিন হবে, যা সরকারের একক ক্ষমতাকে সীমিত করবে।
* বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণ: দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ, যেমন—শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ ও আইনবিদদের উচ্চকক্ষে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে আরও উন্নত ও কার্যকর আইন প্রণয়ন করা সম্ভব হবে।
* সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব: সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির মাধ্যমে উচ্চকক্ষ গঠিত হলে দেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নারীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা যাবে।
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
যদিও এই আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তবে এটি দেশের রাজনৈতিক কাঠামোতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠিত হলে বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে। তবে এর কার্যকারিতা এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আরও বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- পে-স্কেল নিয়ে সর্বশেষ সুখবর যা জানা গেল
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর: তিন ধাপে আসছে নবম পে-স্কেল
- পে স্কেল নিয়ে আবারও অনিশ্চয়তা: শেষ ভরসা অর্থ উপদেষ্টা
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
- জানা গেল হাদির ওপর হামলাকারীকে নিয়ে আঁতকে ওঠার মতো তথ্য
- আসছে ভয়াবহ শৈত্যপ্রবাহ, কাঁপবে যেসব জেলা
- ৩৬ বাংলাদেশি পেলেন ভারতের নাগরিকত্ব: তালিকায় আছেন যারা
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
- আজকের সকল টাকার রেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম
- আজকের সকল টাকার রেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
- প্রাথমিক শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নিয়ে যা জানা গেলো
- হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল শনাক্ত, গ্রেপ্তার ১
- মেসির সঙ্গে শুভশ্রীর ছবি পোস্ট ঘিরে বিতর্ক
- দেশের সব বেকারদের জন্য বড় সুখবর
