টাকা নেওয়া যৌনকর্মী কি দাসীর মত হালাল হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে: ইসলাম যেহেতু নির্দিষ্ট অবস্থায় ক্রীতদাসীর সঙ্গে সহবাসের অনুমতি দিয়েছে, তাহলে কি টাকার বিনিময়ে পতিতালয়ে যাওয়া একই রকম বৈধ হতে পারে? এই ধরনের প্রশ্ন ধর্মীয় জ্ঞানের অভাব থেকে উঠে আসে বলে মনে করছেন ইসলামি চিন্তাবিদরা।
প্রথমেই পরিষ্কার করা জরুরি, ক্রীতদাসী ও পতিতা—এই দুটি পরিচয়ের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। ইসলামিক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ‘ক্রীতদাসী’ বলতে বোঝানো হতো সেই নারীদের, যারা যুদ্ধের পর পরাজিত শিবির থেকে বন্দী হয়ে মুসলিমদের অধীনস্থ হতেন। এরা ছিলেন যুদ্ধবন্দী এবং একটি স্বতন্ত্র আইনগত কাঠামোর মধ্যে অবস্থান করতেন। তাদের মালিকের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে বিস্তারিত নির্দেশনা রয়েছে।
অন্যদিকে, পতিতাবৃত্তি বা টাকার বিনিময়ে যৌনসম্পর্ক ইসলামে সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ (হারাম)। এই ধরনের সম্পর্ক চুক্তিভিত্তিক বৈধ বিবাহ বা ইসলামি আইনে অনুমোদিত কোনো ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত নয়।
একজন বক্তা বলেন, “কেউ কেউ ভুলভাবে ক্রীতদাসীকে আজকের বাসার কাজের বুয়া বা সেবিকার সঙ্গে তুলনা করেন, যা সম্পূর্ণ ভুল। ক্রীতদাসী বলতে বোঝায় যুদ্ধবন্দী নারী, যারা শত্রুপক্ষের সঙ্গে চুক্তি না হওয়ার কারণে পরবর্তীতে মুসলিম সমাজে যুক্ত হতেন।”
তাঁর ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়, “যুদ্ধের পরে বন্দীদের সমাজে কীভাবে স্থান দেওয়া হবে, সেই প্রশ্নে ইসলাম ক্রীতদাস/দাসী ব্যবস্থাকে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে পরিচালনা করত, যেখানে তাদের অধিকারও বিবেচনায় রাখা হতো। তারা ইচ্ছামতো বিক্রি-বিনিময়যোগ্য হলেও, ইসলাম তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার ও তাদের মুক্তির পথ খোলা রাখত।”
বর্তমানে দাসপ্রথা আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ এবং মুসলিম বিশ্বেও এই ব্যবস্থা বিলুপ্ত। তাই আধুনিক সময়ে দাঁড়িয়ে এই বিষয়টি ইতিহাস বা গবেষণার অংশ হতে পারে, কিন্তু তা বর্তমান সমাজে যৌন সম্পর্কের নৈতিকতা বা বৈধতার মানদণ্ড হতে পারে না।
একজন ধর্মীয় বিশেষজ্ঞের ভাষায়, “যেকোনো নারীর সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ইসলামি শরিয়ায় কঠিনভাবে নিষিদ্ধ। ক্রীতদাসীর সঙ্গে সহবাসের অনুমতির ইতিহাস এক বিশেষ প্রেক্ষাপটে সীমাবদ্ধ। এ থেকে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা খোঁজা ধর্মীয় অপব্যাখ্যা।”
সার্বিকভাবে, ইসলাম একটি স্বচ্ছ ও নৈতিক ভিত্তির ওপর পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানায়। সেই জায়গা থেকে এই ধরনের বিভ্রান্তিকর তুলনা বন্ধ করা এবং সমাজে সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তার করাই জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রনি/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে-স্কেল কার্যকর হচ্ছে ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে
- আবারও টানা ৩ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবিরা
- নতুন পে-স্কেলের প্রতিবেদন জমা নিয়ে বেতন কমিশনের ঘোষণা
- পে-স্কেল ২০২৫: বার্ষিক ১০% বেতন বৃদ্ধি, ৩৫ হাজার টাকা সর্বনিম্ন বেতনের প্রস্তাব
- নতুন পে স্কেলের খসড়া চূড়ান্ত, কোন গ্রেডে কত বাড়ল
- সর্বোচ্চ বেতন ২ লাখ ২০ হাজার, সর্বনিম্ন ৪০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব
- পে স্কেলে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতন নিয়ে হঠাৎ নতুন প্রস্তাব
- সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর; ডিসেম্বরেই নতুন পে-স্কেল
- আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম
- নতুন পে-স্কেল: আরও ১০ সংগঠনের সঙ্গে বসছে জাতীয় বেতন কমিশন
- নতুন পে-স্কেল: চিকিৎসা ভাতা ৫০০০, শিক্ষা ভাতা ৩০০০ করার প্রস্তাব
- রেকর্ড পতনের পর আজ যে দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা
- শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না দেশের যেসব এলাকায়
- সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার করা সহ ১৭ প্রস্তাবে যা আছে
- বাংলাদেশ আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম
