সোমবার কি হতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে!

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্তে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, যার প্রেক্ষিতে দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভারতীয় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একের পর এক হুঁশিয়ারি ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এরই মধ্যে, কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পোড়ানোর মতো একটি উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে, যা দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
এদিকে, আগামী সোমবার (১ ডিসেম্বর) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পেট্রাপোলের স্থলবন্দর অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ঘোষণা করেছেন যে, রোববার (২৮ নভেম্বর) মধ্যে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি দেওয়া না হলে, সোমবার থেকে পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হবে। সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে এই অবরোধ এবং ট্রাকগুলো চলাচল বন্ধ হবে। তবে, যাত্রীবাহী বাসগুলোর চলাচল অব্যাহত থাকবে। শুভেন্দু অধিকারী নিজে এই অবরোধ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন।
এছাড়া, ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন যে, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ভিসা বন্ধ করা উচিত এবং এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট পারমিটও দেওয়া বন্ধ করা উচিত। তাঁর মতে, পেট্রাপোল ও বেনাপোল স্থলবন্দর দুই দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত সংযোগ এবং এই বন্দর দিয়ে প্রায় ৭০% বাণিজ্য ও ৩০% অর্থনৈতিক লেনদেন হয়ে থাকে।
অপরদিকে, বাংলাদেশ সরকার এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। কলকাতায় বাংলাদেশের পতাকা পোড়ানোর ঘটনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত সরকারকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা ও দেশের উপদেষ্টার ছবির প্রতি আক্রমণের মতো ঘটনা দুঃখজনক এবং এর তীব্র নিন্দা জানানো হয়।" এছাড়া, বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে তার কূটনৈতিক মিশনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এই উত্তেজনা কেবল দুই দেশের সম্পর্কের উপরই প্রভাব ফেলতে পারে, বরং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও সীমান্ত সংযোগের উপরও এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও যাত্রী চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ চলাচল করে, যার ফলে এই অবরোধের সিদ্ধান্ত দুটি দেশের অর্থনীতি ও মানুষদের জন্য বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে, দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সমাধান খোঁজা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ক্যান্সার হওয়ার ১ বছর আগে যেসব পূর্ব লক্ষণ দেখা দেয়
- মোটরসাইকেল মালিকদের জন্য বিআরটিএর কঠোর নির্দেশনা
- দেশে জ্বালানি তেলের দাম নতুন করে নির্ধারণ
- কোন গ্রুপের রক্তের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি
- দাম কমিয়ে আজ ১ ভরি সোনার দাম কত হল
- তীব্র শব্দে কেঁপে উঠলো ইরান, যা জানা গেল
- ইরানের জন্য নতুন দুঃসংবাদ
- নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত, নতুন বিতর্ক শুরু
- এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে যেদিন
- মৃত্যু ছেলের সাথে ১৫ বছর পর মায়ের দেখা
- স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করলেই মৃত্যুদণ্ড, যা জানা গেল
- বাংলাদেশে আজ ১ ভরি সোনার দাম
- বাস পুড়ে তানজানিয়ায় ৩৮ জনের মৃত্যু
- ভয়াবহ সুনামির শঙ্কা, প্রাণহানি ঘটতে পারে ৩ লাখ মানুষের
- নির্বাচন ঠেকানোর জন্য প্রকাশ্যে হুমকি দিলেন ওবায়দুল কাদের