| ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২

ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় কাবু দেশের উত্তরাঞ্চল সহ সারাদেশ

জাতীয় ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৪ জানুয়ারি ১৬ ১২:২৪:২৫
ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় কাবু দেশের উত্তরাঞ্চল সহ সারাদেশ

উত্তরাঞ্চলের জেলা গাইবান্ধায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। পৌষ মৌসুমের শেষের দিকে ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাসসহ শীতের প্রভাব পড়ছে এ জেলার নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রায়। কনকনে শীতের সময় শিশু এবং বয়স্ক লোকেরা নিজেদেরকে ভয়ানক সমস্যায় পড়ে। প্রেরি ও নদীতীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের মানুষও শীতে ভোগেন। গাইবান্ধার জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রেও বাড়ছে ঠান্ডা রোগীর সংখ্যা।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে খড়কুটো ও টায়ার জ্বালিয়ে, চায়ের দোকানের চুলার আগুনে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো। এছাড়া আঙ্গিনা এবং বাড়ির উঠানে বৃদ্ধ-যুবকসহ সব বয়সের মানুষেরাও খড় পুড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

গাইবান্ধার চার উপজেলার ছোট বড় ১৬৫টি চরে লাখ লাখ মানুষের বসবাস। শীতে সেখানকার নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হয় শীতে‌। এ অবস্থায় গরিব-দুঃখী, অসহায় মানুষগুলোর কষ্টের সীমা থাকে না। শীত নিবারণের জন্য সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের কাছে গরম কাপড় ও কম্বলের জন্য আকুতি জানিয়েছেন এখানকার মানুষজন।

ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আফসার আলী জানান, শীতের এই সময়ে এখানকার মানুষের ব্যাপক কষ্ট হয়। দিনের বেলা সময়টা কোনভাবে পার করলেও রাতে ঠান্ডা বাতাস ও হিমেল হাওয়ায় অনেকের ঘুম হয় না।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার উত্তর হরিণ সিংহা গ্রামের ইজিবাইক চালক তৌহিদ মিয়া বলেন, তীব্র ঠান্ডার মধ্যেও ইজিবাইক নিয়ে বের হতে হচ্ছে। ঘরে বসে থাকলে তো আর পেট চলবে না। তাই বাধ্য হয়ে ঠান্ডার মধ্যেও বের হলাম।

একই গ্রামের নয়ন তারা বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ কাজ না করলে পেট চলে না। নিজে খাব নাকি কাপড় চোপড় কিনব। নিজের কাপড় না থাকলেও ছেলে-মেয়েদের কাপড়তো কিনে দেওয়া দরকার। কিন্তু হাতে কোনো টাকা নেই।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ আল হাসান বলেন, রেলস্টেশন বস্তিসহ বিভিন্ন এলাকায় কম্বল বিতরণ কার্যক্রম চালু রয়েছে। এছাড়া শীতার্ত মানুষদের মাঝে বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কাছে কম্বল সরবরাহ করা হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) জুয়েল মিয়া বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত বিভিন্ন মাধ্যমে ৪৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলার শীতার্ত মানুষের জন্য আরও অধিক পরিমাণ কম্বলের বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে।

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

ক্রিকেট

আচমকা টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বললেন রোহিত শর্মা

আচমকা টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বললেন রোহিত শর্মা

রোহিত শর্মা টেস্ট ক্রিকেটকে জানালেন বিদায়। ইনস্টাগ্রামে ক্যাপশনের সঙ্গে দিলেন আবেগঘন বার্তা। দেখে নিন তার ...

পিএসএলের উদ্বোধনী দিনেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ড

পিএসএলের উদ্বোধনী দিনেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ২০২৫-এর পর্দা উঠছে আজ, ১১ এপ্রিল, ইসলামাবাদ ইউনাইটেড বনাম ...

ফুটবল

বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব: ২০২৫ সালেআর্জেন্টিনার পরবর্তী ম্যাচ সূচি

বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব: ২০২৫ সালেআর্জেন্টিনার পরবর্তী ম্যাচ সূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে লাতিন আমেরিকার বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনা আগামী চারটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ...

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের ...