বারবার বলা হচ্ছে বাংলাদেশ দলের প্রধান সমস্যা ‘টপ অর্ডারে ব্যাটিং’। আর বাংলাদেশ অতল গহ্বর থেকে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে।

দুই প্রারম্ভিক তানজিদ তামিম (৯) এবং লিটন দাস (২৩) যথারীতি ব্যর্থ হলেও নাজমুল হোসেন শান্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখ বাঁচাতে এবং আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের জন্য একটি রান করেছিলেন। এতে ব্যাটিংয়ের শোচনীয় অবস্থার অবসান ঘটে। ৬ ম্যাচ পর আবারও জয়ের পথ পেল সাকিবের দল।

২ ওপেনার তানজিদ তামিম ও লিটন দাস ব্যাট হাতে শুকিয়ে গেছেন। তাদের ব্যর্থতার কারণে ভারতের একটি ছাড়া একটি ম্যাচেও ভালো ছিলেন না ওপেনার। আগের ৭টি খেলার মধ্যে দুটিতে শুরুর জুটি শূন্য রান করেছে। বাকি ৪ জন যোগ করতে পারেননি ৩০ রানও। শুধুমাত্র ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে তানজিদ তামিম ও লিটন দাস প্রথম উইকেটে ৯১ রান দিলে দলের রান ২৫০ পর ২৫৬ পেরিয়ে যায়।

বাকি ম্যাচগুলোতে শুরুটা ভালো হয়নি। তিন নম্বর নাজমুল হোসেন শান্তও প্রাথমিক ধাক্কা সামলাতে ব্যর্থ হন এবং আবারও ইনিংস সাজাতে পারেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন শান্ত। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ৬ উইকেটে। তার পর দৌড়াতে ভুলে গেলেন যেন শান্ত হন বাঁহাতি। পরের ৬ ম্যাচে ভয়ঙ্কর ফর্মে আছেন তিনি! ০, ৭, ৮, ০, ৯, ৪।

এদিকে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও ব্যার্তজ হয়েছেন। ৪ বছর আগে যুক্তরাজ্যের এই বিশ্বকাপে চার-ছক্কা মেরে রান করা সাকিব ৬ ম্যাচে কোনো দুর্দান্ত ইনিংস খেলতে পারেননি। যদিও তিনি দুবার (১৪, ১, ৪০, ১, ৫, ৪৩) ৪০ রান করেছেন। তবে বাকি ৪ ইনিংসে তিনি তিনবার ডাবল ফিগারে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছেন।আমি অবশেষে আজ একটি মসৃণ রান ছিল. অধিনায়ক সাকিবের ব্যাটও হেসেছে। আর এভাবেই পুরনো ব্যাটিং কন্ডিশন পাল্টে আলোর মুখ দেখল বাংলাদেশ দল। ২ ওপেনার লিটন ও তানজিদ তামিম ৪১ রানে ফেরার পর ওয়ান ডাউন শান্ত ও ৪ নম্বরে কর্নারে যাওয়া অধিনায়ক সাকিব শক্ত হাতে দায়িত্ব নিয়ে ১৬৯ রানের বিশাল জুটি গড়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। বিজয়ের দিকে।

অভিজ্ঞ স্লো মিডিয়াম অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১ রানে দু'জন আউট হওয়ার পরে সামান্য নক করা কোনও সমস্যা ছিল না। দুই ভাই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (২২) এবং মুশফিকুর রহিম (১০) দলকে জেতানো এবং সাজঘরে ফেরার সুযোগ ছিল।

কিন্তু তারা পারেনি। ম্যাচ শেষ করতে ব্যর্থ হন মেহেদি মিরাজও (২)। পরে তাওহিদ হৃদয় (১৫*) এবং পেসার তানজিম সাকিব (৫*) ম্যাচ শেষ করতে ফিরে আসেন। তাদের সামনে ২৮০ রানের লক্ষ্য নিয়ে ৫৩ বল আগে ৩ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।

যার ভিত্তি হলো হায়ার অর্ডারের শান্ততা এবং মিডল অর্ডার সাকিবের দৃঢ়তা। বাংলাদেশ দেখেছে অন্তত একজন লম্বা ইনিংস খেললে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব।