ভারতের বিপক্ষে মিরাজের বীরত্ব গাথা প্রদর্শন, তবুও বাংলাদেশ দলের নতুন খটকা

এর একবল পরই লিটন কুমার দাসের দুর্দান্ত ক্যাচে বিরাট কোহলিকে বিদায় করেন সাকিব। খেলা পুরোপুরি টাইগারদের গ্রিপে চলে আসে। বিশ তম ওভারে চতুর্থ উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। শ্রেয়াস আইয়ারকে মুশফিকুর রহিমের হাতে বন্দি করেন এবাদত হোসেন। ভারতের স্কোর ৯২ রানে চার উইকেট। পরবর্তীতে কে এল রাহুল এবং ওয়াশিংটন সুন্দরের মধ্যে দারুন একটি জুটি গড়ে উঠলেও, সেটা এসে ভেঙ্গে দেন বিশ্বাসের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
ভারতের স্কোর তখন ১৫২ রানে ৫ উইকেট। পরবর্তীতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রানে অলআউট হয় মেন ইন ব্লুরা। ছোট টার্গেটে খেলতে নেমে নিজেদের ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। গোল্ডেন ডাক মারেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পরবর্তীতে ধীরে সুস্থে বেশ অনায়াসে ব্যাট করছিলেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা।
লিটন কুমার দাসের ৬২ বলে ৪১ এবং সাকিব আল হাসানের ৩৮ বলে ২৯ এ, ২৩ তম ওভারে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৯৫ রানে চার উইকেট। সেখান থেকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং মুশফিকুর রহিমের পার্টনারশিপে টাইগাররা পৌঁছায় ১২৮ রানে। ১২৮ রানে চার উইকেট হারানো বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার মাত্র ৫৮ রান। হাতে পর্যাপ্ত বল এবং উইকেট দুটিই রয়েছে।
১২৮ রানের চার উইকেট থেকে ১৩৬ রানে নয় উইকেটে পৌঁছে যায় বাংলাদেশের স্কোর। অর্থাৎ এই আট রানের মধ্যে পাঁচটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরবর্তীতে পরপর দুই বলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং মুশফিকুর রহিমের উইকেট হারিয়ে দলীয় স্কোর দাঁড়ায় ১২৮ রানে ৬ উইকেট। পরবর্তীতে যথাক্রমে আফিফ হোসেন, এবাদত হোসেন এবং হাসান মাহমুদের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর যা হয়েছে তা এক অর্থে রূপকথাকেও হার মানাবে।
মেহেদী হাসান মিরাজ এবং মুস্তাফিজুর রহমানের মধ্যকার পঞ্চাশোর্ধ পার্টনারশিপে ম্যাচটি জিতে টাইগাররা। ৩৯ বলে ৩৮ এবং ১১ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন মুস্তাফিজ। মেহেদী হাসান মিরাজ ঠিক কতটা ভালো খেলেছে কিংবা এই পার্টনারশিপটা ঠিক কতটা দুর্দান্ত খেলেছে তা প্রতিবেদনে বোঝানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সরাসরি খেলা দেখা দর্শকরাই হয়তো শুধু বুঝতে পেরেছেন মিরাজের বীরত্ত্ব গাথা। চাপের মুহুর্তে ভারতের দুর্দান্ত বোলিংয়ের বিপক্ষে কি এক অভাবনীয় ইনিংসই না খেললেন তিনি। জেতা ম্যাচ হারার পুরনো অভ্যাস রয়েছে টাইগারদের।
তবে নতুন প্রজন্মের এই ক্রিকেটাররা এখন হারা ম্যাচও জেতা শিখছে। এর আগে আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ৪৯ রানে ষষ্ঠ উইকেটর পতন হলে সেখান থেকে ম্যাচ বের করেন আফিফ হোসেন এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। এবারের ম্যাচে মিরাজের সঙ্গী মুস্তাফিজুর রহমান। তবে চ্যালেঞ্জ কোনো অংশে কম ছিল না বরং ওইদিনের চেয়ে হয়তো কঠিন ছিল এই ম্যাচটি।
তবে মিরাজ যতক্ষণ মাঠে ছিলেন ততক্ষণ ভারতের আর জয়ের মধ্যকার দেয়াল হয়ে ছিলেন। অবশেষে ম্যাচ জেতা শিখছে টাইগাররা। তবে টাইগারদের দুর্বলতা বেশ ভালোভাবেই চোখে পড়েছে। ম্যাচ জেতা হলেও সেই দুর্বলতা নিশ্চয়ই ভুলতে চাইবে না কেউ। বরঞ্চ দুর্বলতা টুকুকে শুধরে দ্বিতীয় ম্যাচে আরো ভালোভাবেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে টাইগারদের। প্রতিদিন তো আর এইরকম বীরত্ব গাথা দেখাবেন না মিরাজ।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দাসী রেখে সহবাস: ইসলাম কী বলে
- হাত-পায়ের এই ৭ লক্ষণ কিডনি নষ্টের ইঙ্গিত
- নতুন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসছে আওয়ামী লীগ
- তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত: বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা বাদ আনিসার
- বাংলাদেশে আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- বাংলাদেশ বনাম কোরিয়া, লাইভ দেখবেন যেভাবে
- পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস
- সরকারি কর্মচারীর বেতন বাড়ছে: বসছে বেতন কমিশনের সভা
- ৭২ ঘণ্টায় দেশের ২০ জেলা বন্যায় প্লাবিত হতে পারে
- ৮০ মিনিটে কোরিয়ার বিপক্ষে ১-৩ গোলে পিছিয়ে বাংলাদেশ
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম
- ৯০ মিনিটে কোরিয়ার বিপক্ষে ১-৬ গোলে হারল বাংলাদেশ
- সিজারে সন্তান নিলে কি জান্নাত মিলবে না
- ৯০ বছর ধরে হাতুড়ির বদলে গ্রেনেড ব্যবহার!
- অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা: আজ প্রথম টি-টোয়েন্টি, কে জিতবে