চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান এবার নিজেই সভাপতি পদ হারানোর শঙ্কায়
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন গত ২৮ জানুয়ারি এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হয়। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। নির্বাচনের দিন এফডিসিতে প্রার্থী ও ভোটার ছাড়া পরিচালক, নির্মাতা ও টেকনিশিয়ানসহ ১৬টি প্রতিষ্ঠানের কেউ প্রবেশ করতে পারেনি। ওই দিন এফডিসিতে ঢুকতে গিয়ে কয়েকজন পরিচালককে নিরাপত্তারক্ষীরা মারধর করেন।
এ বিষয়টিকে ‘অপমানজনক’ হিসেবে উল্লেখ করেন ১৭ সংগঠনের নেতারা। নির্বাচনের পরের দিন থেকেই তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন। ইতোমধ্যে দুই দফায় এফডিসির সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। ঘটনার পরিকল্পনাকারী হিসেবে এফডিসির এমডি নুজহাত ইয়াসমিনকে দায়ী করে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করে পদত্যাগ চাওয়া হয়েছে। একই অভিযোগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
সেই প্রতিবাদের ঝড় এখনো বইছে এফডিসিতে। তারই মধ্যে এবার পরিচালকদের রোষের মুখে তাদেরই সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান। পরিচালক-প্রযোজকদের এফডিসিতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি জেনেও কেন তিনি নির্বাচনে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তার সহকর্মী পরিচালকরা। এ জন্য তারা সোহানের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
এ প্রসঙ্গে নির্মাতা এম আউয়াল পিন্টু জানিয়েছেন, ‘যেখানে আমরা অপমানিত হয়েছি, সেখানে সভাপতি হয়ে সোহান ভাই কীভাবে আপিল বোর্ডের দায়িত্ব পালন করলেন? ওনার বয়কট করা উচিত ছিল। কিন্তু উনি করেননি। স্বাভাবিকভাবেই পরিচালকরা তার পদত্যাগ চাইছে।’
তবে পদত্যাগ এত সহজ নয় বলেও জানান পিন্টু। তিনি বলেন, ‘সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২০০ পরিচালকের সম্মতি সংবলিত স্বাক্ষর লাগবে। কিন্তু সেটা কঠিন হতে পারে। তাছাড়া পদত্যাগই যে সমাধান তাও নয়। অন্যকিছুও হতে পারে। অন্য কোনোভাবে সমাধান করাটাই ভালো হবে বলে আমার মনে হয়।’
দেড় শতাধিক পরিচালক যে অনাস্থাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন সেটি রয়েছে নির্মাতা নাসির মিলনের কাছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য অপমানজনক একটা ঘটনা ঘটেছে। আমাদের সভাপতি সাহেবের নির্বাচনের দিন এফডিসিতে কোনো কাজ ছিল না। তাকে চলে আসতে বলা হলেও তিনি আসেননি। এখন নির্বাহী কমিটি যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই হবে। না হলে আমরা সাধারণ সদস্যরা মিলে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’
এ বিষয়ে পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন বলেন, ‘শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পরের দিন সবাই একটু সেন্টিমেন্টাল হয়ে গিয়েছিল, যার কারণে এই স্বাক্ষর গ্রহণ করেছিল। এখন সব ঠিক হয়ে গেছে। আর পদত্যাগ তো চাইলেই হয় না, একটা নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। বৃহস্পতিবার কেবিনেট মিটিং হয়েছে। এখন সব ঠিক আছে।’
প্রসঙ্গত,শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পরের দিন এফডিসির এমডি নুজহাত ইয়াসমিনের পদত্যাগ চেয়ে যে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয় সেটির নেতৃত্ব দেন পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। এর পরদিন এমডির কুশপুত্তলিকা দাহ করার সময়ও উপস্থিত ছিলেন সোহান। দুদিন না যেতে তার পদত্যাগের দাবিতেই একাট্টা দেড় শতাধিক পরিচালক। এই জল কতদূর গড়ায় এখন সেটাই দেখার।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে কিনা জানাল ভারত
- নতুন পে-স্কেল নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলে গেল
- মঙ্গলবার বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ, কখন ও কিভাবে দেখবেন
- আজ রাত ৮টায় বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ, মোবাইলে যেভাবে দেখবেন
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে যা বললেন শুভেন্দু অধিকারী
- সহজে যেভাবে দেখবেন বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ
- ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, ব্রাজিল বনাম ফ্রান্স: জেনেনিন ফলাফল
- পে-স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল
- আজকের সোনার বাজারদর: ১৮ নভেম্বর ২০২৫
- নাটকীয় টাইব্রেকারে শেষ ফ্রান্স বনাম ব্রাজিলের খেলা, দেখুন ফলাফল
- শেখ হাসিনার রায়ের পর ভাইরাল কাদের মোল্লার সেই চিঠি: কী ছিল তাতে
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম
- দেশে টানা ২ দফায় স্বর্ণের দামে বড় পতন
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার আগে শেখ হাসিনার অডিও বার্তা
- চলছে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা বাংলাদেশ-ভারত: সরাসরি দেখুন এখানে
