শুক্রবার যে আমল করলে আল্লাহ সারা জীবনের গুনাহ ক্ষমা করে দেন
ইসলামে জুমার দিন (শুক্রবার) অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ এবং গুনাহ মাফের জন্য বিশেষ একটি দিন। তবে "সারা জীবনের গুনাহ" ক্ষমা করার বিষয়টি নির্দিষ্ট শর্তের সাথে সম্পর্কিত।
ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী, গুনাহ দুই প্রকার: সগীরা (ছোট) এবং কবীরা (বড়)।
১. সগীরা গুনাহ (ছোট গুনাহ): জুমার দিনের বিশেষ আমল, যেমন— জুমার নামাজ আদায়, খুতবা শোনা, দরুদ পাঠ ইত্যাদি আমলের মাধ্যমে আল্লাহ এক জুমা থেকে আরেক জুমার মধ্যবর্তী সময়ের সগীরা গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেন।
২. কবীরা গুনাহ (বড় গুনাহ): শিরক, হত্যা, পিতা-মাতার অবাধ্যতা, জিনা, সুদ, ইত্যাদি বড় গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে খাঁটি দিলে তওবা (তাওবাতুন নাসুহা) করা অপরিহার্য। তওবা করলে আল্লাহ সারা জীবনের কবীরা গুনাহও ক্ষমা করে দিতে পারেন, এবং জুমা হলো এই তওবা করার সর্বোত্তম দিন।
সুতরাং, কোনো নির্দিষ্ট আমল করলেই তওবা ছাড়া "সারা জীবনের সব গুনাহ" (বিশেষ করে কবীরা গুনাহ) স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাফ হয়ে যায়—এই ধারণাটি পুরোপুরি সঠিক নয়। তবে জুমার দিনের এমন কিছু আমল রয়েছে যা সগীরা গুনাহ মাফ করে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা লাভকে সহজ করে দেয়।
এখানে জুমার দিনের গুনাহ মাফের জন্য সবচেয়ে সহিহ এবং ফজিলতপূর্ণ আমলগুলো উল্লেখ করা হলো:
১. জুমার নামাজের প্রস্তুতি ও খুতবা শোনা (সগীরা গুনাহ মাফ)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: "যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করলো, উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করলো, সুগন্ধি ব্যবহার করলো (যদি থাকে), এরপর (মসজিদে) এমনভাবে গেলো যে, দুই ব্যক্তির মাঝে ফাঁক করে বসলো না, তারপর তার তকদিরে যত রাকাত সম্ভব (নফল) নামাজ আদায় করলো, এবং ইমাম যখন খুতবা দিচ্ছিলেন তখন চুপ থাকলো— তার এক জুমা থেকে আরেক জুমার মধ্যবর্তী সব (সগীরা) গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।"(সহিহ বুখারি, হাদিস: ৮৮৩)
২. বিশেষ দরুদ পাঠ (গুনাহ মাফের ফজিলত)
যদিও এই হাদিসটির সনদ বা বিশুদ্ধতা নিয়ে মুহাদ্দিসগণের মধ্যে কিছুটা মতভেদ রয়েছে, তবে এটি ফজিলত হিসেবে বহুল প্রচলিত:
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:"যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর নিজ স্থান থেকে ওঠার আগে আশি (৮০) বার এই দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার আশি (৮০) বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং তার জন্য আশি বছরের ইবাদতের সওয়াব লিখবেন।"
দরুদটি হলো:اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ وَعَلَى آلِهِ وَسَلِّمْ تَسْلِيمًا(উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাল্লি 'আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া 'আলা আলিহি ওয়া সাল্লিম তাসলিমা।)
(সূত্র: আল-আজকার লিন নববী, ফাজায়েলে দরুদ)
৩. সারাদিনের একটি বিশেষ আমল (অগণিত গুনাহ মাফ)
এই আমলটি শুধু জুমার দিনের জন্য নির্দিষ্ট নয়, বরং প্রতিদিনের। তবে জুমার দিনে এর গুরুত্ব আরও বেশি। এটি সগীরা গুনাহ মাফের জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী একটি আমল।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: "যে ব্যক্তি দিনে একশত (১০০) বার বলে: سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ (উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি), তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যদিও তা সাগরের ফেনার সমতুল্য হয়।"(সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৪০৫)
সারা জীবনের গুনাহ মাফের মূল আমল
সারা জীবনের গুনাহ (বিশেষত কবীরা গুনাহ) মাফের জন্য সর্বোত্তম আমল হলো "তাওবাতুন নাসুহা" বা খাঁটি দিলে তওবা করা। জুমার দিনে দোয়া কবুলের একটি বিশেষ মুহূর্ত থাকে, বিশেষ করে আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত। এই সময়ে কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে নিজের অতীতের সমস্ত গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাইলে এবং ভবিষ্যতে সেই গুনাহ না করার অঙ্গীকার করলে আল্লাহ অবশ্যই ক্ষমা করে দেন।
আশা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে স্কেলে ২০ গ্রেডের জন্য নতুন বেতন স্কেল প্রকাশ
- নতুন পে স্কেল কার্যকর যে মাসে
- রেকর্ড পতনের পর আবারও কমল স্বর্ণের দাম
- দ্বিগুণ উৎসব ভাতা, ৮০% বাড়ি ভাড়া ও ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব
- নতুন পে স্কেলে কোন গ্রেডে কত টাকা বাড়ল বেতন
- স্বর্ণের দামের ১২ বছরে সবচেয়ে বড় পতন
- নতুন বেতন কাঠামো প্রস্তাব: সর্বোচ্চ বেতন ২ লাখ ২০ হাজার, সর্বনিম্ন ৪০ হাজার
- সর্বোচ্চ বেতন দেড় লাখ, সর্বনিম্ন ১৬ হাজার: বাড়ছে ৯০ থেকে ৯৭%
- রেকর্ড দরপতনের পর সস্তা হলো সোনা দাম, আজ এক ভরি কত
- নতুন বেতন কাঠামো: বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্যও সুখবর
- রেকর্ড পতনের পর নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা
- ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধস বিশ্ববাজারে সোনার দামে
- কমিশনে ১১-২০ গ্রেড; ৩২ হাজার টাকা সর্বনিম্ন বেতনের প্রস্তাব
- বাংলাদেশে বড় পতনের পর আজ সোনার ভরি কত
- পে স্কেল নিয়ে এবার বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর
