| ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে বন্ধ হচ্ছে ৯টি দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠান

জাতীয় ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৪:২৬:২৬
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে বন্ধ হচ্ছে ৯টি দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে লাগামহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের ফলে সৃষ্ট চরম সংকটের কারণে এবার ব্যাংকবহির্ভূত ৯টি দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে (এনবিএফআই) বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকের অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের অবনতি ঘটেছিল।

এছাড়াও, দেশের একাধিক দুর্বল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আটকে আছে জনগণের বিপুল পরিমাণ প্রাতিষ্ঠানিক আমানত।

প্রাতিষ্ঠানিক আমানত আটকা: কোথায় কত টাকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের দুর্বল ব্যাংক ও এনবিএফআইগুলোতে বড় অঙ্কের প্রাতিষ্ঠানিক আমানত আটকে রয়েছে।

* মার্জারভুক্ত ৫ ব্যাংক: পাঁচটি দুর্বল ব্যাংকের কাছে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকার স্থায়ী আমানত (এফডিআর) আটকে আছে। এর মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের কাছে ১০ হাজার ১৮৫ কোটি, ইউনিয়ন ব্যাংকের কাছে ৮ হাজার ৬৩১ কোটি, এক্সিম ব্যাংকের কাছে ৮ হাজার ১৫৭ কোটি, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের কাছে ৫ হাজার ৭৯১ কোটি এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের কাছে ৪ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা রয়েছে। পদ্মা ব্যাংকসহ অন্যান্য দুর্বল ব্যাংকেও বিপুল পরিমাণ আমানত আটকে আছে।

* দুর্বল এনবিএফআই: ২০টি দুর্বল এনবিএফআই-তে আটকে আছে ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি প্রাতিষ্ঠানিক আমানত।

বন্ধ হচ্ছে যেসব প্রতিষ্ঠান: দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র

এই ২০টি দুর্বল এনবিএফআই-র মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে 'অতি দুর্বল' চিহ্নিত করে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক ও ঋণ খেলাপির চিত্র ভয়াবহ:

আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ খেলাপির হার
লোকসানের পরিমাণ
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং 96%
৪২১৯ কোটি টাকা
পিপলস লিজিং 95%
৪৬২৮ কোটি টাকা
আভিভা ফাইন্যান্স 83%
৩৮০৩ কোটি টাকা
এফএএস ফাইন্যান্স 99.93% ১৭১৯ কোটি টাকা
বিআইএফসি 97.30%
১৪৮০ কোটি টাকা
ফারইস্ট ফাইন্যান্স 98% ১০১৭ কোটি টাকা
প্রিমিয়ার লিজিং 75% ৯৪১ কোটি টাকা
প্রাইম ফাইন্যান্স 78% ৩৫১ কোটি টাকা
জিএসপি ফাইন্যান্স 59% ৩৩৯ কোটি টাকা

সংকটের মূল কারণ: রাজনৈতিক প্রভাব ও দুর্নীতি

খাত সংশ্লিষ্টরা এই সংকটের মূল কারণ হিসেবে রাজনৈতিক প্রভাব, উচ্চ সুদের লোভ এবং লাগামহীন কমিশন বাণিজ্যকে দায়ী করছেন।

সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান বলেন, "শুধু কমিশন বাণিজ্য নয়, রাজনৈতিক প্রভাব এবং উচ্চ সুদের লোভের কারণেই এসব প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয়েছে। তৎকালীন ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও এস আলমের প্রভাব বিস্তার ছিল বিশেষভাবে লক্ষণীয়।"

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খানও বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, "মূল সমস্যা দুর্নীতি, যা না থামলে এসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া কঠিন।"

রাজনৈতিক মদদপুষ্ট অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন করুণ দশা হওয়ায়, এই ৯টি প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রাহকদের মধ্যে স্বস্তি আনলেও পুরো আর্থিক খাতের জন্য এটি একটি বড় সতর্কবার্তা।

সোহাগ/

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

আফগানিস্তান দলের হেড কোচ হচ্ছেন মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন

আফগানিস্তান দলের হেড কোচ হচ্ছেন মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন নিজের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। ...

চলছে বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ; লাইভ দেখুন এখানে

চলছে বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ; লাইভ দেখুন এখানে

প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ইতোমধ্যেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। তাই আজকের ম্যাচটি টাইগারদের জন্য মান বাঁচানোর ...

ফুটবল

ভারত ও নেপাল ম্যাচের জন্য বাংলাদেশ দলের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা

ভারত ও নেপাল ম্যাচের জন্য বাংলাদেশ দলের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ এবং নেপালের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচকে সামনে ...

আবারও কমলো সোনার দাম

আবারও কমলো সোনার দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক দিনের ব্যবধানে আবারও দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স ...