আশা ইসলাম
রিপোর্টার
যার হাতে ধ্বংস হবে পবিত্র কাবাঘর, বাধা দেবে না কোনো মুসলিম
ইসলামের ইতিহাসে পবিত্র কাবা শরিফ কেবল একটি স্থাপত্য নয়, বরং এটি মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ের কেন্দ্রবিন্দু ও ঐক্যের প্রতীক। প্রতি বছর কোটি কোটি মুসলমান এই ঘর ঘিরে তাওয়াফ করে এবং নামাজের জন্য এর দিকে মুখ করে। কিন্তু মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ভবিষ্যৎবাণী করে গেছেন যে, এক সময় এই পবিত্র ঘর ধ্বংস হয়ে যাবে, যা কিয়ামতের একটি বড় আলামত।
কিয়ামতের পূর্বলক্ষণ ও কাবার ধ্বংস
সহীহ বুখারীর হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন কাবাঘর ধ্বংস হবে, তখন কিয়ামত খুব কাছাকাছি চলে আসবে। অর্থাৎ, কিয়ামতের বড় আলামত যেমন— ইমাম মাহাদীর আগমন, দাজ্জালের আবির্ভাব, হযরত ঈসা (আ.)-এর আগমন এবং ইয়াজুজ-মাজুজের ফিতনা— এসব ঘটনার পরেই কাবার ধ্বংসের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটবে।
ইসলামের আলো বিলীন
নবী (সা.) সেই ভয়াবহ সময়ের চিত্র তুলে ধরে বলেছেন যে, তখন ইসলাম শুধু নামেই থাকবে। কোরআনের অক্ষর থাকবে, কিন্তু মানুষ তাতে আর আমল করবে না। আরেকটি হাদিসে তিনি বলেন, এক রাতে হঠাৎ কোরআন পৃথিবী থেকে উঠিয়ে নেওয়া হবে। তখন কোনো আয়াত মানুষের মুখে বা কিতাবে অবশিষ্ট থাকবে না। অর্থাৎ, দুনিয়া থেকে ইসলামের আলো সম্পূর্ণভাবে নিভে যাবে এবং পৃথিবী অন্ধকারে ঢেকে যাবে। মানুষ তখন কাবাকে আল্লাহর ঘর হিসেবে নয়, বরং কেবল একটি প্রাচীন স্থাপত্য হিসেবে দেখবে। হজ বন্ধ হয়ে যাবে, তাওয়াফ থেমে যাবে এবং মক্কা-মদিনা জনশূন্য হয়ে পড়বে।
ধ্বংসকারী আবিসিনীয় ব্যক্তি
হাদিসে এসেছে, একজন আবিসিনীয় (ইথিওপিয়ার) ব্যক্তির হাতে কাবাঘর ধ্বংস হবে। তার নাম হবে জু-সুওয়াইকাতাইন। সে হবে কৃষ্ণাঙ্গ এবং তার পা হবে পাতলা। এই ব্যক্তি আফ্রিকার দিক থেকে এসে একে একে কাবার ইট, পাথর ও অলঙ্কার খুলে ফেলবে, যেন এই ঘরটি কখনো ছিলই না। তখন তাকে বাধা দেওয়ার মতো কোনো ঈমানদার ব্যক্তিও অবশিষ্ট থাকবে না।
অতীতে কাবার পুনর্গঠন
ইতিহাসে কাবাঘর একাধিকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইবনে জুবায়ের ও হাজ্জাজ বিন ইউসুফের যুদ্ধের সময় (৬৮৩ খ্রিস্টাব্দে) এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আব্বাসীয় যুগে আগুন ও বন্যায় আংশিকভাবে এটি ধ্বংস হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই মুসলমানদের ঐক্য ও ভালোবাসায় তা পুনর্নির্মিত হয়েছে। তবে শেষ জামানায় এর ধ্বংস হবে চূড়ান্ত, কারণ তখন আর কেউ পুনর্নির্মাণের শক্তি বা ঈমান রাখবে না।কাবার ধ্বংসের পর কিয়ামত
আরও পড়ুন- ইমাম মাহদী আগমনের সময় পৃথিবীতে যা যা ঘটবে
আরও পড়ুন- নবীজির মতে: যে ৪ গুণে নারীদের বিয়ে করা উত্তম
কাবার ধ্বংস কিয়ামতের শেষ সূচকগুলোর একটি। এর পরপরই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটবে। মানুষের হৃদয় থেকে শান্তি বিলীন হবে, সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উঠবে এবং পৃথিবীতে কিয়ামতের চূড়ান্ত আহ্বান ধ্বনিত হবে।
আয়শা সিদ্দিকা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নবম পে স্কেল কার্যকর হবে জানুয়ারিতে: অর্থ উপদেষ্টা
- পে স্কেল চূড়ান্ত: বেতন বাড়ার আগে জিএমপিএস চালু
- নতুন পে স্কেল: কার্যকর হচ্ছে ২০২৬-এর জানুয়ারি থেকেই
- নবম পে স্কেলে আসছে ‘সাকুল্য বেতন’ ধারণা
- পে স্কেল চূড়ান্ত! ২০২৬ এর শুরুতেই কার্যকর
- ১৫ ডিসেম্বরের আল্টিমেটামের মুখে পে-স্কেল নিয়ে নতুন দ্বন্দ্ব
- নবম পে স্কেল ২০২৬-এর শুরুতেই: বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে আসছে ‘সাকুল্য বেতন’ ধারণা
- সরকারি পে স্কেল: অর্থ বরাদ্দ শুরু, জিপিএমএস আসছে
- আজকের সোনার বাজারদর: ৯ নভেম্বর ২০২৫
- নতুন পে স্কেল: সুপারিশ চূড়ান্তের শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে, তবে বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা
- হংকং সিক্সেস ফাইনাল: দুপুরে হংকংয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ, যেভাবে দেখবেন
- আজকের সোনার বাজারদর: ১০ নভেম্বর ২০২৫
- পে স্কেল কার্যকর কবে! জানাল কমিশন
- সরকারি ছুটি ২০২৬: ঈদ ও পূজায় ছুটি কতদিন
- পে স্কেল চূড়ান্ত হওয়ার আগে কি আসবে মহার্ঘ ভাতা
