ডাকসুতে শিবিরের জয় নিয়ে যা বলল ভারত
স্বাধীনতার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভূমিধস জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। ভিপি পদে সাদিক কায়েম, জিএস পদে এসএম ফরহাদ এবং এজিএস পদে মহিউদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন। এই ফল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের কংগ্রেস নেতা ও সংসদ সদস্য শশী থারুর।
শশী থারুরের উদ্বেগ
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ শশী থারুর লেখেন, "ভারতের বেশিরভাগ মানুষের কাছে ছাত্রশিবিরের জয় হয়তো তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে না, কিন্তু এটি আসন্ন দিনগুলোর জন্য একটি উদ্বেগজনক ইঙ্গিত।" তিনি প্রশ্ন তোলেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের জয় কি ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে? নয়াদিল্লিকে কি তাহলে প্রতিবেশী দেশে জামায়াতের সরকারের মোকাবিলা করতে হবে?"
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতি মানুষের বিরক্তি দিন দিন বাড়ছে। তাদের 'সর্বনাশক' মনোভাবের কারণে অনেকেই বিকল্প হিসেবে জামায়াতের দিকে ঝুঁকছেন। থারুরের মতে, মানুষের এই ধারণা যে জামায়াত অন্তত এই দুই মূলধারার দলের মতো দুর্নীতি ও 'কুশাসনে' কলঙ্কিত নয়।
শশী থারুরের মন্তব্যের প্রতিবাদ
শশী থারুরের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন ডাকসুর প্রতিরোধ পর্ষদের জিএস পদপ্রার্থী মেঘমল্লার বসু। বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, "আমি আমার ভোটারদের পক্ষ থেকে বলছি, দয়া করে বাংলাদেশের ডানপন্থী রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করবেন না।"
মেঘমল্লার বসু অভিযোগ করেন যে থারুরের মন্তব্য আসলে জামায়াতে ইসলামীর জন্য ইতিবাচক প্রচার হিসেবে কাজ করছে। তিনি লেখেন, "আপনার পর্যবেক্ষণ যে মানুষ দুই প্রধান দলের দুর্নীতিতে ক্লান্ত হয়ে বিকল্প খুঁজছে, তা সঠিক। কিন্তু আপনি বুঝতে পারছেন না যে আপনার মন্তব্য বাংলাদেশের অতি-ডানপন্থীদেরই সাহায্য করছে।"
মেঘমল্লার থারুরের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, "আপনার বিন্দুমাত্র বিনয় নেই এটা উপলব্ধি করার যে আপনি অনিচ্ছাকৃতভাবেই জামায়াতের জন্য একটি জনসংযোগ প্রচারণা চালাচ্ছেন।" তিনি প্রশ্ন তোলেন, "ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিজয় আপনার কাছে কেন উদ্বেগজনক? আপনি কি সেই একই ব্যক্তি নন, যিনি কেরালায় সবরিমালা মন্দিরের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নে সিপিআইএম-কে হারাতে ডানপন্থীদের হয়ে প্রচারণা চালিয়েছিলেন?"
তিনি আরও বলেন, "যারা কাচের ঘরে থাকেন, তারা অন্যের ঘরে পাথর ছোড়েন না। যারা মোদি ও অমিত শাহকে টানা তিনবার হারাতে ব্যর্থ, তাদের উচিত নয় অন্য দেশের এক ছাত্র সংগঠনের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মাথা ঘামানো।"
সোহাগ আহমেদ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে-স্কেলে যোগ হলো কঠোর বিধান
- জানুয়ারি থেকেই নতুন পে-স্কেল কার্যকর!
- সোনার দামে মহাধস! দাম নেমে এলো ১ লাখ ১৯ হাজার টাকায়
- জাহান্নামমুখী ব্যাক্তির দুই রোগ লেগেই থাকে
- পে কমিশনে মতবিনিময় শেষ: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতন কত হল
- কঠোর সিদ্ধান্তে সেনাবাহিনী: ২৪ ঘণ্টা সব থানায় সেনা সহায়তার ঘোষণা
- ২০ গ্রেডের কাঠামো ভেঙে যাচ্ছে: সরকারি কর্মীদের বেতন অনুপাত পাল্টে দেবে যে নতুন প্রস্তাব
- রেকর্ড পতন শেষে চাঙ্গা স্বর্ণের বাজার
- কঠোর সিদ্ধান্ত নিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান
- এক ভরি স্বর্ণের দাম কমে ১ লাখ ৩১ হাজার টাকায়
- দেশের বাজারে লাফিয়ে ২৪ হাজার টাকা কমলো সোনার দাম
- যে চাকরি পাচ্ছেন বিয়ারিং পড়ে নিহত কালামের স্ত্রী
- ডিসেম্বরে ঘোষণা হবে নতুন পে স্কেল!
- নতুন বেতন কাঠামোতে বড় সুখবর পাচ্ছে বেসরকারি চাকরিজীবীরা
- সোনার দাম কমলো ১০ হাজারের বেশি, আজ থেকে নতুন মূল্য কার্যকর
