গোপালগঞ্জ ইস্যু এবং বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় গ্রহণকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে এক ধরনের শীতলতা তৈরি হয়। এর ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহে ভারত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশকে ঘিরে গোপালগঞ্জের সাম্প্রতিক সহিংসতা ভারতের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়েও উঠে এসেছে।
গত বুধবার গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির পদযাত্রা ঘিরে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই সহিংসতায় অন্তত চারজনের প্রাণহানি হয়। অভিযোগ উঠেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দিনভর সমাবেশস্থলে তাণ্ডব চালিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলাটিতে কারফিউ জারি করা হয়।
বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে গোপালগঞ্জের সহিংসতার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। একজন সাংবাদিক গোপালগঞ্জের ঘটনায় ভারতের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, "দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের সব ঘটনাপ্রবাহ তার দেশ নিবিড়ভাবে অনুসরণ করে এবং যা ঘটছে তা বিবেচনায় নেয়। প্রয়োজন অনুযায়ী সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।"
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়েও ভারতের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। একজন সাংবাদিক উল্লেখ করেন যে, ভারত বারবার বলেছে বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য, গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হওয়া উচিত। তিনি আরও প্রশ্ন করেন যে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের আগামী বছরের শুরু বা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে একমত হওয়াকে ভারত বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক মনে করে কিনা।
জবাবে রণধীর জয়সোয়াল জানান, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে তারা এমন নির্বাচনকেই স্বাগত জানায় যা **গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সকল পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করে।
বাংলাদেশী নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রণধীর জয়সোয়াল নিশ্চিত করেন যে, ভারত সরকার ভ্রমণ, শিক্ষা এবং চিকিৎসার মতো বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভিসা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাস থেকে বাংলাদেশের সাথে ভারতের স্বাভাবিক ভিসা কার্যক্রম কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, যার ফলে অনেক বাংলাদেশী নাগরিককে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল। এ বিষয়ে জয়সোয়াল বলেন, "আমরা বাংলাদেশীদের ভিসা দিচ্ছি। নানা কারণেই ভিসা দেওয়া হচ্ছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পরিমাণে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন কারণে ভিসা দিয়ে আসছি, যেমন ভ্রমণ, চিকিৎসার প্রয়োজন এমনকি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও।" তবে তিনি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ঠিক কত সংখ্যক ভিসা দেওয়া হয়েছে, সেই নির্দিষ্ট সংখ্যা জানাতে পারেননি। তিনি জানান, সঠিক সংখ্যাটি জেনে গণমাধ্যমকে জানাতে পারবেন।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- প্রশংসার জোয়ারে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান
- রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের বৈঠক
- ১ দিনের ছুটি নিলেই মিলবে টানা ৩ দিনের ছুটি
- পাঁচটি ব্যাংকে টাকা তুলতে পারছেন না গ্রাহকরা
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি স্বর্ণের দাম
- অবশেষে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
- এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের গভর্নিং বডি গঠনে নতুন নীতিমালা জারি
- স্ট্রোকের ২ মাস আগে শরীরে দেখা দেয় ৬টি লক্ষণ
- অবশেষে বাংলাদেশে চালু হলো ৫জি: যেভাবে ব্যবহার করবেন
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
- আবারও কমলো এলপি গ্যাস ও অটোগ্যাসের দাম
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর
- লাফিয়ে বাড়ল স্বর্ণের দাম, দেখুন আজকের দাম
- ঘরে বসে এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করুন সহজে
- ফের বাড়লো সোনার দাম