সৌদিতে কেয়ামতের আলামত! নবীজির সতর্কবাণী এবং আমাদের করণীয়
নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৪৪৫ বছর আগে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) গভীর এক রাতে ঘুম থেকে আতঙ্কিত হয়ে উঠলেন। তিনি বলতে লাগলেন:
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ধ্বংস আরবদের জন্য, ধ্বংস আরবদের জন্য! ভয়ংকর এক ফেতনা ধেয়ে আসছে তাদের দিকে।তিনি হাত দিয়ে একটি দিক নির্দেশ করে বললেন, দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে। বোঝানো হয়, জুলকারনাইনের তৈরি সেই দেয়ালে ফাঁক সৃষ্টি হয়েছে।
এমন এক ভয়াবহ ভবিষ্যদ্বাণীর পেছনে কী কারণ ছিল?
হাদিস অনুযায়ী, তাঁর স্ত্রী জিজ্ঞাসা করলেন,আমাদের মাঝে ভালো লোক থাকা সত্ত্বেও কি আমরা ধ্বংস হব?নবীজি জবাব দিলেন, হ্যাঁ, যখন অশ্লীলতা, বেহায়াপনা এবং অন্যায় সমাজে ছড়িয়ে পড়বে, তখন ধ্বংস হবেই।
এটি শুধু আরবের ব্যাপারে নয়, গোটা মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি বার্তা। সমাজে নগ্নতা, সুদ, মাদক, পর্নোগ্রাফি, ফ্রি সেক্স – সবই ফেতনার রূপ নিয়েছে। এইসব পশ্চিমা সংস্কৃতির আগ্রাসনে আজ আমরা আক্রান্ত।
তাহলে করণীয় কী?
নবীজি সুসংবাদও দিয়েছেন – এমন কঠিন সময়ে যারা সুন্নতের উপর দৃঢ় থাকবে, তাদের জন্য রয়েছে ৫০ জন শহীদের সওয়াব।আজ যারা ঈমান ধরে রাখতে চায়, তারা যেন আগুন হাতে রাখার মতো কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়। কিন্তু যদি আমরা টিকে যেতে পারি, তবে পুরস্কার অপরিসীম।
আমাদের দায়িত্ব কী?
নবীজির আদর্শে সমাজকে ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদের করতে হবে ৫টি মূল কাজ:
১. দ্বীনের এলম অর্জন – যাতে শিরক ও বিদআত থেকে বাঁচা যায়, তাওহীদ ও সুন্নত চেনা যায়
২. এলম অনুযায়ী আমল করা – শুধু জানা নয়, তা জীবনেও বাস্তবায়ন করা
৩. পরিবারকে দ্বীনের পথে আনা – স্ত্রী, সন্তানদের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া। পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার ও সম্মান নিশ্চিত করা
৪. একটি দ্বীনভিত্তিক কমিউনিটি গড়ে তোলা – মসজিদ, মাদ্রাসা, দারুল ইলম, বোনদের জন্য শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা
৫. দাওয়াত ও সমাজ পরিবর্তনের মেহনত চালিয়ে যাওয়া – একদিনের ওয়াজে দ্বীন কায়েম হয় না, দরকার নিবেদিতপ্রাণ কর্মী ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টা
আজকের অনেক ইসলামি মাহফিল গভীর রাত পর্যন্ত চলে, অথচ ফজরের নামাজ পড়ে না কেউ। এই অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। সুন্নতের খেলাফ গিয়ে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা যায় না। মাহফিল হতে হবে এমন সময়ে, যাতে রাতের ঘুম এবং ফজরের নামাজ দুটোই রক্ষা করা যায়।
আল্লাহ যেন আমাদের ফেতনার যুগে ঈমান নিয়ে বেঁচে থাকার তাওফিক দেন। আমরা যেন নিজেরা আমল করে, পরিবারকে দ্বীনের পথে নিয়ে গিয়ে, সমাজে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিতে পারি। প্রযুক্তি, শিক্ষা, সবকিছুতেই যেন আমরা ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে পারি।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- পে-স্কেল নিয়ে সর্বশেষ সুখবর যা জানা গেল
- পে-স্কেল নিয়ে সবশেষ ঘোষণা: যা জানা গেল
- পে-স্কেল নিয়ে উত্তেজনা: সবশেষ পরিস্থিতি কি?
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
- ওসমান হাদির সবশেষ অবস্থা জানালেন চিকিৎসক
- ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ : সিসিটিভি ফুটেজে যা মিললো
- হাদির ওপর হামলা কারছে কে, জানালেন আইজিপি
- জানা গেল হাদির ওপর হামলাকারীকে নিয়ে আঁতকে ওঠার মতো তথ্য
- ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ: যা জানা গেলো
- আসছে ভয়াবহ শৈত্যপ্রবাহ, কাঁপবে যেসব জেলা
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
- ৩৬ বাংলাদেশি পেলেন ভারতের নাগরিকত্ব: তালিকায় আছেন যারা
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম
- আজকের সকল টাকার রেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
- ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরতে হবে তারেক রহমানকে
