টকশোতে মুখোমুখি খালেদা জিয়া ও ড. ইউনুস: উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি এক জনপ্রিয় টেলিভিশন টকশোতে মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই আলোচিত ব্যক্তিত্ব—বেগম খালেদা জিয়া এবং নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস। তাদের মুখোমুখি আলোচনায় উঠে এসেছে নানা গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর তথ্য, যা দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে।
“আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর আজ আবার দেশের মানুষের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেলাম। আমার কারাবন্দি অবস্থায় যারা দোয়া করেছেন, সংগ্রাম করেছেন—তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘ আন্দোলনের পর আমরা অবৈধ শাসনের কবল থেকে মুক্ত হয়েছি। এই বিজয় শুধু একটি রাজনৈতিক জয় নয়—এটা বাংলাদেশের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। এখন আমাদের নতুনভাবে একটি গণতান্ত্রিক, দুর্নীতিমুক্ত এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে তরুণরাই হবে মূল চালিকা শক্তি।”
তিনি বলেন, “আমি রাজনীতিবিদ নই। দেশের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য একাধিকবার অনুরোধ জানানো হলেও আমি তা গ্রহণ করিনি। কারণ, আমি জানতাম, এটা আমার কাজ নয়। আমি যা জানি, সেটাই করি। আমি রাজনীতি করতে চাইনি, করছিও না।”
“গ্রামীণ টেলিকম একটি নন-প্রফিট কোম্পানি। এটি কোনো ব্যক্তির মালিকানাধীন নয়। এর মাধ্যমে অর্জিত মুনাফা দিয়ে আমরা বিভিন্ন সামাজিক ব্যবসা পরিচালনা করি। ব্যক্তিগত লাভ নয়, মানুষের সমস্যার সমাধানই আমাদের উদ্দেশ্য।”
তিনি আরও জানান, “গ্রামীণফোন থেকে যে লভ্যাংশ আসে, সেটি সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়। টেলিনরকে সামাজিক ব্যবসার মডেলে আনতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তারা রাজি হয়নি। তাই গ্রামীণ টেলিকমকেই এই মডেলে পরিচালনা করছি।”
কিছু বিতর্কিত প্রশ্নও উঠেছিল, বিশেষ করে ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেন সময়ে ড. ইউনুসের ভূমিকা নিয়ে। অনেকে মনে করেন, তখন তিনি রাজনৈতিক ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ড. ইউনুস স্পষ্ট করে বলেন, “আমাকে যখন সামরিক সরকার ক্ষমতায় যেতে বলেছিল, আমি না করে দিয়েছিলাম। আমি সারারাত তাদের সঙ্গে তর্ক করেছি এই প্রস্তাব না নিতে। আমি বলেছিলাম, আমি উপযুক্ত নই এই দায়িত্বের জন্য।”
“গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শান্তি ও উন্নয়নের জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রতিহিংসা নয়, ঐক্যই হোক আমাদের শক্তি।”
এই টকশোটি শুধু দুই বিশিষ্ট ব্যক্তির মুখোমুখি আলাপ ছিল না—এটি ছিল বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, এবং সামাজিক কাঠামো নিয়ে এক গভীর বিতর্ক ও আত্মপ্রকাশ। কে কোথায় দাঁড়িয়ে, কার অবস্থান কী—সবটাই স্পষ্ট হয়েছে এই আলোচনায়।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে স্কেলে বেতন কাঠামো সর্বনিম্ন ও সর্বাচ্চ যত বেতনের প্রস্তাব
- নবম পে-স্কেল: রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষ, তিন ধাপে বাস্তবায়নের রূপরেখা
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: দ্বিগুণ হলো ভাতা
- ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হচ্ছে নবম পে-স্কেল
- চলছে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান সেমি ফাইনাল; (Live) দেখুন এখানে
- পে-স্কেল কমিশনের রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষ; আসছে সুখবর!
- তিন ধাপে নবম পে-স্কেল: ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হচ্ছে
- অবশেষে পে-স্কেলের সুপারিশ জমা নিয়ে সুখবর
- সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামো সংস্কার: ১২টি গ্রেড ও ১:৪ অনুপাতের নতুন প্রস্তাব
- সরকারি কর্মচারীদের সুখবর: জানুয়ারিতেই আসছে পে-স্কেল রিপোর্ট
- সিঙ্গাপুরে কেমন আছেন শরীফ ওসমান হাদি; চিকিৎসকরা জানালেন সর্বশেষ তথ্য
- জানুয়ারির শুরুতেই পে-স্কেলের সুপারিশ জমা দিচ্ছে কমিশন
- নবম পে স্কেল বাস্তবায়ন: তিন ধাপের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করল কমিশন
- নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নে তিন ধাপের নতুন রূপরেখা চূড়ান্ত
- বিমানবন্দরের নতুন ত্রাতা: কে এই ম্যাজিস্ট্রেট নওশাদ খান
