নিজস্ব প্রতিবেদক: আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ের কথা বলতে গিয়ে আমি আজ আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আমি এমন একটি পরিস্থিতির শিকার, যেখানে আমার অধিকার হরণ করা হয়েছে, আমার প্রতি বৈষম্য চালানো হয়েছে। যখন সাব চৌধুরী একটি মামলায় জামিন পেয়েছেন, আমি ঠিক একই ধারার মামলায় পাঁচ মাস ধরে জামিন পাচ্ছি না, তাও আদালত থেকে কোনো সঠিক ব্যাখ্যা ছাড়া। এটাই বৈষম্যের চিত্র, যা আমি মানতে বাধ্য হচ্ছি। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং আমাদের সমাজের প্রতিচ্ছবি, যেখানে একদিকে মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে, অন্যদিকে আইন তার নিজস্ব পথে চলছে, অথচ সেখানে যেন কোনো সমতা নেই।

এই বৈষম্যের প্রতি আমি আগে থেকেই সম্মান জানিয়েছি, সম্মানিত ভাই। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, আমি চুপ করে বসে থাকব। আমার মতো সাধারণ মানুষকে বিচার পেতে পাঁচ মাস অপেক্ষা করতে হবে, এটা আমি মেনে নিতে পারি না। একদিকে, আমি জানি, আমাদের দেশের আইন ব্যবস্থায় সব কিছু সঠিকভাবে চলছে না। আমার কাছে প্রশ্ন হলো, কেন আমাদের মতো সাধারণ মানুষরা এতদিন ধরে অপেক্ষা করবে, আর যারা শক্তিশালী তারা দ্রুত মুক্তি পাবে?

ভাই, আমি জানি, এই পরিস্থিতি আমাদের সকলের জন্যই দুর্বিষহ। কিন্তু একথা বলতেই হবে, ‘এত কাছে যাওয়া যাবে না’। কখনও কখনও, আমাদের জায়গা থেকে এক পা পিছিয়ে আসা দরকার, যেন আমরা আরো ভালোভাবে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে পারি। আপনাদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাই, সকল মানুষের উচিত আইন ও শৃঙ্খলা মেনে চলা এবং একে অপরের প্রতি ভালো আচরণ প্রদর্শন করা।

আমার পক্ষ থেকে একটাই প্রার্থনা, চৌধুরী ভাই, আপনি যদি আমাদের এলাকার ফুটবল মাঠে কোনো ধরনের বিরতি বা সমস্যা হতে না দেন, তবে আমরা সবাই আনন্দিত হব। ফুটবল আমাদের এলাকার যুবকদের জন্য এক বড় আবেগের জায়গা, আর সেই জায়গাটি নষ্ট হতে দেওয়া উচিত নয়। আমাদের সমাজের উন্নতির জন্য সবকিছু মেনে চলতে হবে, এবং সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।

আমি বিশ্বাস করি, একদিন আমাদের সমাজে পরিবর্তন আসবে। একদিন আমরা যে বৈষম্য ও অন্যায়-অবিচারের শিকার, তা থেকে মুক্তি পাব। তবে, আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে, আইন ও মানবিকতা মেনে চলতে হবে, এবং একে অপরকে সাহায্য করতে হবে। তাহলেই আমরা আমাদের সমাজকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।

রাকিব/