৮ মাত্রার ভূমিকম্পের জন্য বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত
-1200x800.jpg)
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ একটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল, কারণ এটি ইন্ডিয়ান, ইউরেশীয় ও বার্মিজ—এই তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত।
সাম্প্রতিককালে ৭.৭ মাত্রার এক শক্তিশালী ভূমিকম্প মিয়ানমারের মান্দালয় অঞ্চলে আঘাত হানে, যার গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। ভূমিকম্পটি বাংলাদেশের ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় অনুভূত হয়েছে। যদিও বাংলাদেশে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি, তবে ৯০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে অবস্থিত থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অন্তত ১৪৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রশ্ন ওঠে, যদি এই মাত্রার ভূমিকম্প ঢাকার নিকটবর্তী কোনো অঞ্চলে আঘাত হানে, তাহলে পরিস্থিতি কেমন হবে?
ভূমিকম্পের ঝুঁকি এবং প্রস্তুতির ঘাটতি
বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ইশরাত ইসলাম জানান, বাংলাদেশ ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি বলেন, “ভবন নির্মাণে সঠিক তদারকি হচ্ছে না, কমিউনিটি পর্যায়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। এছাড়া ঢাকায় খোলা জায়গার অভাবের কারণে ভূমিকম্পের পর আশ্রয় ও উদ্ধারকাজে চরম সমস্যা দেখা দেবে।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার পুরান ঢাকা এবং বসুন্ধরা এলাকাগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। পুরান ঢাকার অধিকাংশ ভবন একে অপরের সংলগ্ন এবং দুর্বল ভিত্তির ওপর নির্মিত, যা বড় ভূমিকম্পে ভেঙে পড়তে পারে। অন্যদিকে, বসুন্ধরার মতো নরম মাটির অঞ্চলে ভূকম্পনের প্রভাব আরও বেশি হতে পারে। তাই ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড যথাযথভাবে মেনে চলার ওপর জোর দিতে হবে।
সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি ও পরিণতি
রাজউকের এক গবেষণা অনুসারে, টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্টে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকার ৪০.২৮% থেকে ৬৫.৮৩% ভবন ধসে পড়তে পারে।
ভূমিকম্প যদি ভোরে ঘটে, তবে ২.১ থেকে ৩.১ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
দুপুরে হলে প্রাণহানি হতে পারে ২.৭ থেকে ৪ লাখ।
রাতে হলে মৃত্যুর সংখ্যা ৩.২ থেকে ৫ লাখ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
এছাড়া, সিলেটে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকায় প্রায় ৪০,৯৩৫ থেকে ৩ লাখ ১৪ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও দুর্বল ভবন কাঠামোই ঢাকার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। শহরের ভবনগুলো ভূমিকম্প প্রতিরোধী নয় এবং সংকীর্ণ গলিতে গড়ে ওঠা বসতি ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সরকারের করণীয় ও প্রস্তুতি গ্রহণের উপায়
বিশেষজ্ঞরা ভূমিকম্পের ক্ষতি কমানোর জন্য চারটি প্রধান বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন:
বিল্ডিং কোড যথাযথভাবে মানা
বর্তমান ভবনগুলোর শক্তিমত্তা মূল্যায়ন করা
ভূমিকম্প পরবর্তী ঝুঁকি মোকাবিলার পরিকল্পনা
ভবন নির্মাণের আগে মাটির উপযুক্ততা পরীক্ষা করা
বিশ্বব্যাপী ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ঘাটতি প্রকট। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও ভূমিকম্প প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের এখনই উপযুক্ত সময়। ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে বাংলাদেশ কীভাবে তার ক্ষয়ক্ষতি সামাল দেবে, তা নিয়ে এখনই প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
আমি আপনার গল্পটিকে পুনর্লিখন করেছি যাতে এটি আরও সংক্ষেপিত ও প্রাসঙ্গিক হয়। আপনি যদি কোনো পরিবর্তন চান বা নির্দিষ্ট অংশে আরও তথ্য সংযোজন করতে চান, আমাকে জানান!
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- তুমুল সংঘর্ষ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে, ৫৪ জনের মৃত্যু
- সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়লো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের
- আলেমদের বেইজ্জতি করার পরিণতি সাতক্ষীরা চেয়ারম্যান
- ভারত থেকে যে ৩৩ পন্য আমদানী বন্ধ
- মারা গেছেন চিত্রনায়ক রুবেল, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
- অভিনেতা সিদ্দিক যেভাবে আটক হলেন
- বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে রেকর্ড উত্থানের পর বড় পতন
- বিশ্বব্যাংকের লাল তালিকায় বাংলাদেশ, খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে টানা দ্বিতীয় বছর
- উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশকে বার্তা পাঠাল পাকিস্তান
- পাক-আফগান সীমান্তে বড়সড় অভিযানে ৭১ সন্ত্রাসী নিহত
- পর্যটকের ক্যামেরায় ধরা পড়লো কাশ্মীর হামলার দৃশ্য
- ডিজেল ও পেট্রলের দাম কমালো সরকার
- সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা নিয়ে বড় সুখবর
- ২০২৫ সালে এসে কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হবে
- গর্ভে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণে কোরআনের আবাক করা তথ্য