নেপালের রাজতন্ত্রই কি শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরার স্বপ্ন দেখাচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের অনুসারীরা উত্তেজনায় মেতে উঠেছে শেখ হাসিনার ফিরে আসার গুঞ্জনে। সম্প্রতি ভারতের একটি শীর্ষ গণমাধ্যম আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে যে, শেখ হাসিনা খুব দ্রুতই প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই বাংলাদেশে প্রবেশ করবেন। তবে এই দাবির পেছনে বাস্তব কোনো ভিত্তি আছে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। অনেকেই এটিকে নিছক গুজব বলে উড়িয়ে দিলেও, আওয়ামী লীগ আশার আলো খুঁজছে এক ঐতিহাসিক ঘটনার দিকে তাকিয়ে—নেপালের রাজতন্ত্রের ফিরে আসা।
সম্প্রতি নেপালের সাবেক রাজা জ্ঞানেন্দ্রের রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন আওয়ামী লীগের জন্য এক আশার সঞ্চার করেছে। তাদের ধারণা, নেপালের মতো বাংলাদেশেও এক সময় আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে।
নেপালে ২০০৬ সালে গণআন্দোলনের মাধ্যমে ২৩৯ বছরের রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে। রাজা জ্ঞানেন্দ্রকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশকে গণতন্ত্রের পথে আনা হয়। কিন্তু প্রায় ১৮ বছর ধরে দুর্নীতি, অরাজকতা, অর্থনৈতিক মন্দা ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার কবলে পড়ে দেশটি আজ গভীর সংকটে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়ে, নেপালের সাধারণ মানুষ আবার রাজতন্ত্রের দিকে ফিরে যেতে চাইছে। কাঠমান্ডুর রাজপথে হাজারো মানুষ এখন রাজতন্ত্র পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে।
যে রাজা জ্ঞানেন্দ্র একসময় ক্ষমতার লোভে সংসদ বিলুপ্ত করেছিলেন, গণতন্ত্র নিষিদ্ধ করেছিলেন, সাংবাদিক ও বিরোধী নেতাদের কারাগারে বন্দি করেছিলেন—সেই রাজাকেই আজ অনেক নেপালি নেতা সমর্থন জানাচ্ছেন।
বাংলাদেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। ব্যাপক দুর্নীতি, দমন-পীড়ন, প্রশাসনিক দুর্বলতা এবং অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।
এদিকে, ভারতের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা টাইমস অফ ইন্ডিয়া-তে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা আবারও বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী হয়ে ফিরতে পারেন। এই খবরে আওয়ামী নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।
তবে প্রশ্ন উঠছে—নেপালের মতো বাংলাদেশেও কি ক্ষমতাচ্যুত নেতার ফিরে আসার সম্ভাবনা আছে? শেখ হাসিনা যদি সত্যিই ফিরে আসেন, তবে তিনি গণসমর্থন পাবেন, নাকি তীব্র জনরোষের মুখে পড়বেন?
নেপালের মতো বাংলাদেশও এখন এক গভীর সংকটে রয়েছে। দেশজুড়ে অপরাধ, চুরি, ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে, কিছু মানুষ হয়তো অতীতের শাসকদের ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র চায়, কর্তৃত্ববাদী শাসন নয়।
শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ কী হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে নেপালের উদাহরণ থেকে শিক্ষা না নিলে বাংলাদেশ আরও বড় সংকটে পড়তে পারে।
সাদিয়া/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আলোচিত সেই বাবা-মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- নিজ অফিসেই শেষ গুলি, এএসপি আত্মহত্যার পেছনে যে কষ্টের গল্প বললেন ভাই
- এএসপি পলাশের আত্মহত্যা একদিন পর বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- হঠাৎ হামলা! পাকিস্তানের মিসাইলে কাঁপলো ভারতের ১৫ শহর
- দুই দিনের ছুটি বাতিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে
- হাসনাত আব্দুল্লাহ মারা গেছেন; গুজবের আসল সত্য জানুন এখনই
- এক বিছানায় দুই স্ত্রী নিয়ে থাকলে ইসলাম কী বলে
- কাশ্মীরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: পাকিস্তানের দাবি, ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত
- আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ঘিরে তোলপাড়, কী বলছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথে! কী বলছে সরকার
- নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশে ফেরা পিছিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া
- সরকারি চাকরিজীবীদের মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা চালুর উদ্যোগ
- হার্ট অ্যাটাক হওয়ার এক মাস আগে শরীর যে ৫টি সতর্ক সংকেত দেয়!
- আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ যা জানাল সিইসি
- সেনাপ্রধানের নামে ভুয়া দাবি: ব্যারিস্টার সুমনের মুক্তির আসল সত্য