রিসোর্টে অসামাজিক কার্যক্রম ৪ যুগলকে বিয়ে, রিসোর্টে ভা'ঙ'চু'র ও আ'গু'ন
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রিজেন্ট পার্কে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে ১৬ জন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীকে আটক করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাটি ঘটার পর, বিক্ষুব্ধ জনতা রিসোর্টের বিভিন্ন কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সিলাম এলাকার স্থানীয়রা রিজেন্ট পার্ক ঘেরাও করে শিক্ষার্থীদের আটক করেন। এর পর তাদের পরিবারের জিম্মায় আটজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়, বাকি আটজনকে স্থানীয় কাজী ডেকে বিভিন্ন পরিমাণ দেনমোহর নির্ধারণ করে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
এই বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলাম ইউনিয়নের কাজী আব্দুল বারী। চারটি যুগলের মধ্যে তিনজনের জন্য ১০ লাখ টাকা এবং একজনের জন্য ১২ লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়। বিয়ে দেওয়া যুগলগুলোর মধ্যে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ এবং ওসমানী নগর উপজেলার বাসিন্দা রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রিজেন্ট পার্কের উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই সেখানে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ ওঠে। যদিও পার্কটির নামকরণ করা হয়েছে, কিন্তু এখানে তরুণ-তরুণীরা অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত হতে শুরু করেন। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী এবং প্রেমিক-প্রেমিকারা পার্কের কক্ষে ভাড়া নিয়ে এসব কার্যকলাপ করতেন।
রোববার দুপুরে, স্থানীয়রা পার্কে এসে হানা দিয়ে শিক্ষার্থীদের কক্ষে তাদের আটক করে। এ ঘটনার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনগণের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম তাজুল, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সভাপতি আবেদ রাজা, বিশিষ্ট মুরব্বি ফজলু মিয়া, শফিকুল হক শফিক, ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম মাসুম, উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক রাসেল আহমদ এবং উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ আহমদসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তারা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ডেকে এনে তাদের বিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেন।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম তাজুল জানান, "আমরা খবর পেয়ে মুরব্বিদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং পরিস্থিতি শান্ত করি। পরে আটক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ডেকে এনে আটজনের বিয়ে পড়াই এবং বাকিদের পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেওয়া হয়।"
এ বিষয়ে মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে মোগলাবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে স্থানীয় মুরব্বিরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ডেকে তাদের জিম্মায় দিয়ে দেন এবং তিনি বিয়ের বিষয়ে কোনো তথ্য জানেন না বলে জানান।
এই ঘটনা স্থানীয় সমাজে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। একদিকে, বিক্ষুব্ধ জনতার এমন হস্তক্ষেপ নিয়ে নানা বিতর্ক উঠলেও, অন্যদিকে, পার্কের পরিচালকদের এবং স্থানীয় প্রশাসনের নিরবতার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন, যদি আগে থেকেই এই ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হত, তবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না।
এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনাগুলি সামাজিক ও আইনগত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসনকে আরও সজাগ ও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ১৮ ডিসেম্বরে পে-স্কেল ঘোষণা, যা জানা গেল
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর: তিন ধাপে আসছে নবম পে-স্কেল
- নবম পে-স্কেল: গেজেট নেই, ১৮ ডিসেম্বর নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
- অর্থ উপদেষ্টা কী বলছেন! পে-স্কেল বাস্তবায়নে নতুন মোড়
- সরকারি কর্মচারীদের পে-স্কেল আপডেট: অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক
- Ipl Auction 2026: মুস্তাফিজের দিকে নজর ৫ দলের
- আইপিএল নিলাম ২০২৬: এখন পর্যন্ত দল পেলেন যারা, মুস্তাফিজের অবস্থান কি
- নবম পে-স্কেল: সর্বশেষ অগ্রগতি জানাল পে-কমিশন
- বাংলাদেশে আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম
- আইপিএল ২০২৬ নিলাম: মুস্তাফিজ-রিশাদের অবস্থান
- নতুন পে-স্কেল আপডেট: গেজেট প্রকাশ নিয়ে যা ভাবছে সরকার
- ওসমান হাদির বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা কতটুকু
- IPL Auction 2026: সরাসরি দেখুন
