একের পর এক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কটের ডাক

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ আফগানিস্তান। তবে, টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগেই একের পর এক দেশ আফগানিস্তানকে বয়কট করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। আফগানিস্তানের তালেবান শাসন নারীদের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে, এমন অভিযোগে ইংল্যান্ডে এর আগে আফগান ম্যাচ বয়কটের দাবি ওঠে। এবার, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রীড়ামন্ত্রীও একই দাবি তুলেছেন।
ক্রীড়ামন্ত্রী গেইটন ম্যাকেঞ্জি তার এক বিবৃতিতে আফগানিস্তানের নারীদের প্রতি অবিচারের প্রতিবাদ জানিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কটের প্রস্তাব দিয়েছেন। এই বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘বি’ গ্রুপে আফগানিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকা পাশাপাশি রয়েছে। তাদের সঙ্গে একই গ্রুপে থাকবে অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড। এই পর্যন্ত, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে, যদিও ব্রিটিশ ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রীড়ামন্ত্রী ম্যাকেঞ্জি বিবৃতিতে বলেন, "আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাস এবং তাদের সরকারের নারী বিরোধী নীতির প্রেক্ষিতে, আমি মনে করি, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলাকে নীতিগতভাবে বয়কট করা উচিত। যদিও আইসিসি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বিপক্ষে, তবে এটা পরিষ্কার যে আফগানিস্তানে নারীদের বিষয়টি নিয়ে তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "ক্রীড়া মন্ত্রী হিসেবে আমি জানি যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পুরো ক্ষমতা আমার হাতে নেই, তবে যদি তা থাকত, আমি আফগানদের বিরুদ্ধে খেলতে দিতাম না। ক্রীড়ায় পুরুষ ও নারীর সমান সুযোগ না পাওয়া এক ধরনের বর্ণবাদ, এবং বিশ্বের কোথাও নারীদের প্রতি বৈষম্য কাম্য নয়।"
অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতা এবং যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী পিটার হেইন সিএসএ (দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড) কে একটি চিঠি পাঠিয়ে আফগানিস্তানে নারীদের প্রতি অবিচার, বিশেষ করে তাদের শিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদ জানান। তিনি সিএসএ-কে আহ্বান জানান, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাদের বিপক্ষে খেলতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড (সিএসএ) জানিয়ে দিয়েছে যে তারা আফগানিস্তানের নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণকে ঘৃণা করে এবং বিশ্বাস করে যে নারীদেরও সমান সুযোগ দেওয়া উচিত। তবে, সিএসএ এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে, যে তারা আইসিসির ইভেন্ট হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে কিনা তা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের নীতিমালার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে। সিএসএ-এর সভাপতি রিহান রিচার্ডস বলেন, "আমরা আফগানিস্তানে নারীদের প্রতি বৈষম্যকে ঘৃণা করি, তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আইসিসির আয়োজনে হওয়ায় আমাদের সিদ্ধান্ত আইসিসির নিয়মের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে আমরা এই ইস্যুতে গঠনমূলক আলোচনা এবং আইসিসির অন্যান্য সদস্য দেশের সঙ্গে মিলিত হয়ে সমাধান খোঁজার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।"
এভাবে, আফগানিস্তানে নারীদের স্বাধীনতা এবং তাদের প্রতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিবাদ যেন দিন দিন আরও তীব্র হচ্ছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশকে সতর্কবার্তা পাঠাল ইরান
- পায়খানার রাস্তার লোম কাটা জায়েজ কিনা
- সহবাসের পর বীর্য বাইরে ফেললে গুনাহ হয় কি
- দেশে জ্বালানি তেলের দাম নতুন করে নির্ধারণ
- ২৪ ঘন্টার মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ কমে গেল জ্বালানি তেলের দাম
- কোন রক্তের গ্রুপে গরম বা শীত বেশি লাগে
- বাংলাদেশের বাজারে আজ ১ ভরি সোনার দাম
- স্বর্ণের বাজারে বড় ধাক্কা, লাফিয়ে কমছে দাম
- বাংলা ১০ সিনেমায় বাস্তবেই সহবাস করতে হয়েছে নায়ক-নায়িকাদের
- অবশেষে ভারতীয় ভিসা নিয়ে এলো বড় সুখবর!
- নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকিতে বাংলাদেশ!
- মৃত্যুর আগে মানুষ যে স্বপ্ন বার বার দেখে
- চাকরিতে থাকা বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বড় সুখবর
- অবশেষে বাংলাদেশকে সুখবর পাঠাল ভারত
- ইরানের জন্য নতুন দুঃসংবাদ