ইজতেমা মাঠে হ*ত্যা কাণ্ডে যারা জড়িত জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে ৪ জন নিহত এবং ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকেও ছাড় দেওয়া হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইজতেমা মাঠ দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল সাদপন্থি এবং জুবায়ের পন্থিদের মধ্যে। গত রাতে এই উত্তেজনা রূপ নেয় সহিংস সংঘর্ষে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাদপন্থি অনুসারীরা ইজতেমার অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছিল, তবে তার আগেই জুবায়েরপন্থিরা ইজতেমা মাঠ দখল করে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে সাদপন্থিরা তুরাগ নদীর পশ্চিম দিক থেকে বিভিন্ন রাস্তায় এসে ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করতে শুরু করেন। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ বুধবার সকাল পর্যন্ত চলতে থাকে, এতে অন্তত চারজন নিহত হন এবং ৫০ জনের বেশি আহত হন। আহতদের মধ্যে বেশিরভাগকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক পর্যায়ে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ এবং সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য গাজীপুরের টঙ্গী ইজতেমা ময়দানের আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকা, কামারপাড়া, আবদুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর ১০সহ তুরাগ নদীর দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় সভা, মিছিল, বিক্ষোভ ইত্যাদি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, সংঘর্ষের জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে সাদপন্থি এবং জুবায়েরপন্থিরা। নিহতদের মধ্যে কয়েকজনের মরদেহ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে, এবং বেশ কয়েকজন আহত অবস্থায় গুরুতর আছেন। এই ঘটনায় একজনের মাথা এবং মুখ থেঁতলেছে, অন্য একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের অনেকেই রক্তক্ষরণে ভুগছেন।
ঘটনার পর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাদপন্থি ও জুবায়েরপন্থিদের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, "যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খুনিদের কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে, এবং কেউ এর বাইরে থাকবে না।"
এছাড়া, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, "বিশ্ব ইজতেমা মাঠের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সংঘর্ষের ব্যাপারে আমরা গভীরভাবে আলোচনা করেছি। যেহেতু ইজতেমার তারিখ নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি এবং দ্রুত সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা করব।"
এদিকে, বেলা ১১টায় মাওলানা সাদ অনুসারী পাঁচজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন, পরে মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের সঙ্গেও বৈঠক করা হয়। এই বৈঠকের মাধ্যমে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
এভাবে ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষ এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বড় ধরনের উত্তেজনা তৈরি করেছে। তবে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আশ্বাস অনুযায়ী, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার বক্তব্য
- আলোচিত সেই বাবা-মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- নিজ অফিসেই শেষ গুলি, এএসপি আত্মহত্যার পেছনে যে কষ্টের গল্প বললেন ভাই
- এএসপি পলাশের আত্মহত্যা একদিন পর বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- হঠাৎ হামলা! পাকিস্তানের মিসাইলে কাঁপলো ভারতের ১৫ শহর
- দুই দিনের ছুটি বাতিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে
- হাসনাত আব্দুল্লাহ মারা গেছেন; গুজবের আসল সত্য জানুন এখনই
- এক বিছানায় দুই স্ত্রী নিয়ে থাকলে ইসলাম কী বলে
- পাকিস্তানের বিপক্ষে যুদ্ধে কত সৈন্য হারিয়েছে স্বীকার করল ভারত
- বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে যা চাইলো ডোনাল্ড ট্রাম্প
- কাশ্মীরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: পাকিস্তানের দাবি, ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত
- আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ঘিরে তোলপাড়, কী বলছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথে! কী বলছে সরকার
- নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশে ফেরা পিছিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া
- আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ যা জানাল সিইসি