১৪০০ বছর আগে সিরিয়া নিয়ে নবীজি যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন

মুকেশ আম্বানি সাম ভূখণ্ড নবী রাসুলদের ভূখণ্ড, কোরআন ও হাদিসের বিভিন্ন স্থানে এই ভূমির বরকত ও পবিত্রতার বর্ণনা পাওয়া যায়। বিশেষ কিছু বরকতপূর্ণ ও পবিত্র ভূমির মধ্যে সিরিয়া অন্যতম। মক্কা ও মদিনার পর সিরিয়ার মর্যাদা সর্বোচ্চ, এবং এই ভূমির সাথে জড়িয়ে রয়েছে বহু ঐতিহাসিক ঘটনা। বর্তমান সিরিয়া, জর্দান, লেবানন ও ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড এক সময় ছিল প্রাচীন শামের অংশ। এই ভূমির সাথে কিয়ামত পূর্ব বহু ঘটনার সম্পর্ক রয়েছে, এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই অঞ্চলের ভবিষ্যত নিয়ে অনেক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, যা এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
আল্লাহর ওলীদের বিশেষ দল রয়েছে এই ভূখণ্ডে। মুসনাদে আহমদ (৮৩৯৬ নম্বর হাদিস) এ উল্লেখ করা হয়েছে, হযরত সূরা ইবনে উবাইদ রহমাতুল্লাহি বলেন, হযরত আলী (আ.) ইরাকে অবস্থানকালে তাকে শাবাশির ব্যাপারে বলা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘না, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, সাম ভূখণ্ডে আল্লাহর ওলীর বিশেষ দল রয়েছে। তারা ৪০ জন, এবং যখন একজন মারা যায়, আল্লাহ তার স্থানে আরেকজনকে পাঠান। তাদের বরকতের কারণে বৃষ্টি হয় এবং শত্রুর বিরুদ্ধে জয়লাভ করা সম্ভব হয়। ভবিষ্যতে তাদের মাধ্যমে একদিন সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।’’
সিরিয়া মুসলিমদের দ্বিতীয় হিজরত ভূমি হিসেবে পরিচিত। আবু দাউদের (২০০০-৪৩৮২ নম্বর হাদিস) অনুযায়ী, হিজরতের পর শিগগিরই আরেকটি হিজরত সংঘটিত হবে, এবং তারা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ হবে। তারা ইব্রাহিম (আ.) এর হিজরত ভূমির কাছে অবস্থান করবে। এর বিপরীতে, পৃথিবীতে যারা আল্লাহ অপছন্দ করবেন, তাদের ভূমি ত্যাগ করবে এবং তারা ফিতনার আগুনে পুড়বে।
মহাযুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর সেনা শিবির সিরিয়াতেই হবে, এবং এখানে ইমাম মাহদির খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হবে। সহীহ মুসলিমে (২০০০-৮২ নম্বর হাদিস) উম্মে সালামা (রাদিআল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘একজন খলিফার মৃত্যুর পর মতানৈক্য সৃষ্টি হবে। তখন মদিনা থেকে একজন ব্যক্তি মক্কায় আসবেন এবং বাইয়াত গ্রহণ করবেন। তার বিরুদ্ধে একটি দল পাঠানো হবে, কিন্তু তারা ওয়াইলি নামক স্থানে ভূমিধসের শিকার হবে।’’
এছাড়া, দামেস্কের মিনারায় ঈসা (আ.) এর অবতরণ এবং দাজ্জালকে হত্যা সম্পর্কিত ভবিষ্যদ্বাণীও রয়েছে। সহীহ মুসলিমে (২০০০-৯৩৭ নম্বর হাদিস) বলা হয়েছে, ‘‘দাজ্জাল পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করতে বের হবে, এরপর আল্লাহ ঈসা (আ.) কে দামেস্কের পূর্বদিকে একটি শুভ মিনারে অবতরণ করাবেন এবং তিনি দাজ্জালকে হত্যা করবেন।’’
এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলি সিরিয়ার বরকতময় ভূমির গুরুত্বকে আরো সুস্পষ্ট করে তোলে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদিসে বর্ণিত বার্তাগুলি মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা আমাদের সকলের জানা অত্যন্ত জরুরি।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ফরজ গোসল দেরিতে করলে কি গুনাহ হয়!
- ১২ দেশের নাগরিকদের আজীবন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ
- যে কারনে ‘কালো মানিক’ গ্রহণ করেননি খালেদা জিয়া
- ৯৯% মুসলমানদের দেশে এবার পশু কোরবানি নিষিদ্ধ
- আবারও কমলো জ্বালানি তেলের দাম
- ঈদের আগে দাম কমিয়ে আজ থেকে নতুন দামে এলপি গ্যাস
- আমার স্ত্রীকেও রেহাই দেয়নি সেনাপ্রধান
- ভোরে চিলির বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা, মোবাইলে যেভাবে খেলা দেখবেন
- হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হল আর্জেন্টিনা-চিলির ম্যাচ
- আবদুল হামিদকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি, ব্যাখ্যা দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- এই ৪টি আলামত থাকলে বুঝে নিন — আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসেন!
- এসএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে যেদিন
- চরম রসালো ১০ ভারতীয় ওয়েব সিরিজ, যা একবার হলেও দেখা উচিত
- ঈদের পর পেঁয়াজ নিয়ে বড় সুখবর
- ১ জুলাই থেকে সরকারি কর্মীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা: কোন গ্রেডে কত পাবেন