প্রথম দিন ট্রাইব্যুনালে যা বললেন, যা করলেন পলক,আনিসুল,দীপু মনিরা!
অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়া আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা-সাবেক মন্ত্রীর উপস্থিতি ছিল গতকাল বেশ আলোচিত। একে একে প্রিজন ভ্যান থেকে নামতে থাকা এই নেতাদের দেখে মনে হচ্ছিল যেন তারা কোনো ফ্রি সময়ে বেরিয়ে এসেছেন, কোনো আইনি সমস্যায় পড়েননি। তাদের আচরণে যেন কিছুই হয়নি, তারাও হাসি-ঠাট্টায় মত্ত ছিলেন। তবে বাস্তবতা ভিন্ন, গত প্রায় তিন মাস ধরে তারা কারাগারে রয়েছেন, এবং এই প্রথমবারের মতো আদালতে হাজির হয়েছেন।
ট্রাইব্যুনালের প্রথম হাজিরা ছিল যথেষ্ট উত্তেজনার, যদিও আসামিরা এদিন বেশ শান্ত-স্বাভাবিক ছিলেন। প্রিজন ভ্যান থেকে একে একে নামতে থাকা আনিসুল হক, দীপু মনি, জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৩ জন আওয়ামী লীগ নেতা এবং তাদের সমর্থকরা বেশ খোশ মেজাজে ছিলেন। সবার মাঝে এক ধরনের আত্মবিশ্বাস ছিল, যেন তারা কিছু ভুল করেননি বা কোনো কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হননি।
এদিন তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সাক্ষাতের অনুমতি দেয়া হয়। এমনকি, তারা কিছু সময়ের জন্য একে অপরের সাথে গল্প-গুজব করছিলেন। তবে, জানানো হয়েছে যে, তাদের প্রথম হাজিরায় বিশেষ কোনো কঠিন প্রশ্ন বা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম অভিযোগ তোলেন, ছাত্রদের হত্যা, নির্বাচনে প্রহসন, শাপলা চত্বরে হেফাজতের ওপর হামলা, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের মতো গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত এই আসামিরা। তিনি আরও বলেন, এসব অপরাধে সরাসরি জড়িত ছিলেন শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীরা, যারা সুপ্রিয়র হিসেবে দায়ভার বহন করছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী উল্লেখ করেন, বিশেষ করে জুনাইদ আহমেদ পলক এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালীন ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া এবং সাবেক বিচারপতি মানিকের উসকানিমূলক বক্তব্যের বিষয়টি আদালতে তোলা হয়।
বিচারক সময় দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর আবেদন গ্রহণ করেন এবং আগামী এক মাসের মধ্যে সকল প্রমাণ জমা দিতে নির্দেশ দেন। আদালত আরও বলেন, এই এক মাসের মধ্যে শেখ হাসিনাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত বাকি আসামিদের হাজির করা হবে।
এছাড়া, আদালত আগামী ১৭ ডিসেম্বর সাবমিশন অব ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। অর্থাৎ, বিচার কার্যক্রম আরও এগিয়ে যাবে এবং আসামিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে আরও বিস্তারিত তদন্ত হতে থাকবে।
শুনানি শেষে, আদালতে বিচারিক কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর আসামি পক্ষের আইনজীবী এবং আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়। পরে, বেলা আড়াইটার দিকে, প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এভাবে, একদিকে যেখানে আইনি লড়াই চলছে, সেখানে অন্যদিকে এই ট্রাইব্যুনালকে ঘিরে নানা গুঞ্জন এবং আলোচনা চলছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে এসব ঘটনা নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নবম পে-স্কেল: ৯০% পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ, আগামী সপ্তাহেই চূড়ান্ত রিপোর্ট!
- পে-স্কেল নিয়ে সবশেষ ঘোষণা: যা জানা গেল
- পে-স্কেল নিয়ে উত্তেজনা: সবশেষ পরিস্থিতি কি?
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
- ওসমান হাদির সবশেষ অবস্থা জানালেন চিকিৎসক
- পে-স্কেল নিয়ে সর্বশেষ সুখবর যা জানা গেল
- আজকের সোনার বাজারদর: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
- ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ : সিসিটিভি ফুটেজে যা মিললো
- হাদির ওপর হামলা কারছে কে, জানালেন আইজিপি
- আজকের সকল টাকার রেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
- জানা গেল হাদির ওপর হামলাকারীকে নিয়ে আঁতকে ওঠার মতো তথ্য
- ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ: যা জানা গেলো
- নির্বাচনের আগে পে-স্কেলের গেজেট নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা
- শনি ও রোববার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান, যেভাবে দেখবেন
