এবার চট্টগ্রামকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার 'মাস্টারপ্ল্যান' নিয়ে হাজির ময়ুখ রঞ্জন ঘোষ
চট্টগ্রামে চলমান বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ময়ুখ রঞ্জন ঘোষ, যিনি একজন সাংবাদিক হলেও তার কাজের ধরণ ও বক্তব্যের কারণে প্রায়ই সমালোচিত হন। ময়ুখের অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গি, চিত্কার ও চেঁচামেচি দেখে মনে হয় তিনি একজন পেশাদার মলম বিক্রেতা বা সার্কাসের জোকার। তবে, তাঁর মিথ্যাচার, অপপ্রচার এবং বিতর্কিত মন্তব্যের ফলে তিনি বাংলাদেশের জনগণের কাছে এক বিতর্কিত চরিত্রে পরিণত হয়েছেন।
সম্প্রতি, তিনি ভারতের এক বিজেপি সমর্থিত টিভি চ্যানেল, রিপাবলিক বাংলার মাধ্যমে একটি ভয়াবহ মিথ্যাচারে ভরা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে চট্টগ্রামকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। তার এই প্রতিবেদনে তিনি বাংলাদেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে নানা অপতথ্য ছড়িয়েছেন। এই প্রতিবেদনে চট্টগ্রামকে স্বাধীন হতে বা ভারতের অংশ হয়ে যেতে পারে বলে উল্লিখিত হয়েছে।
ময়ুখ রঞ্জন ঘোষ এই প্রতিবেদনটিতে চট্টগ্রামের ৯৯% জনগণ হিন্দু-বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিলেন এবং তাদের উপর অত্যাচারের দাবি করেছেন, যা একটি মারাত্মক মিথ্যা। তিনি দাবি করেন, ১৯৪৭ সালের পর চট্টগ্রাম থেকে হিন্দুদের বিতাড়িত করা হয়েছে। তবে, তার এই দাবির কোন ভিত্তি নেই, বরং ইতিহাস বলছে, চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রথম ইসলাম প্রচার শুরু হয় এবং মুঘল আমলে এই অঞ্চল ইসলামাবাদ নামে পরিচিত ছিল।
বাংলাদেশের খ্যাতিমান ইতিহাসবিদ ড. আবদুল করিমের মতে, চট্টগ্রাম ছিল ইসলামের প্রবেশদ্বার এবং ১৯৪৭ সালের পূর্বেই এখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটে। ময়ুখের অসত্য বক্তব্য এবং ইতিহাসের বিকৃতি দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।
নেটিজেনদের পক্ষ থেকে ময়ুখের বক্তব্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হচ্ছে, অনেকেই তাকে সামাজিক মাধ্যমে 'পাগল' এবং 'কমেডিয়ান' হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। তার এই মিথ্যাচার চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি একজন সহযোগী, সন্তু নামে এক ব্যক্তিকেও নিয়েছেন, এবং দুজন মিলে ৮ মিনিটের একটি ভিডিওতে বাংলাদেশের ইতিহাস ও সমাজকে বিকৃত করেছেন।
এই বিতর্কিত প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ওই চ্যানেলের কনটেন্ট নিষিদ্ধ করার জন্যও অনুমতি চাওয়া হয়েছে। নেটিজেনদের একটি বড় অংশ মনে করছেন, শুধুমাত্র আইনি নোটিশ দিয়েই এই পরিস্থিতি শেষ করা উচিত নয়, বরং ময়ুখ রঞ্জন ঘোষকে উপযুক্ত বিচারের আওতায় আনা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এমন অপপ্রচার বন্ধ হয়।
বাংলাদেশে বিশেষজ্ঞরা এবং জনগণ আশা করছেন, এই ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যাতে কেউ ইতিহাস ও সমাজকে বিকৃত করার সাহস না পায়।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- পে-স্কেলের গেজেট প্রকাশ নিয়ে মুখ খুললেন অর্থ উপদেষ্টা
- সরকারি কর্মচারীদের নতুন পে-স্কেলের প্রস্তাব: সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার, সর্বোচ্চ ১.২৮ লাখ টাকা
- নবম পে-স্কেল: ৯০% পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ, আগামী সপ্তাহেই চূড়ান্ত রিপোর্ট!
- পে–স্কেল কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার নির্দেশ
- সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি চলছে, দেখুন রেজাল্ট
- স্কুলে ভর্তির লটারি আজ, এক ক্লিকে দেখুন
- স্কুল লটারির ফল প্রকাশিত: অভিভাবকরা যেভাবে ফল দেখবেন
- পে-স্কেল নিয়ে সবশেষ ঘোষণা: যা জানা গেল
- ২০% ভাতার দাবিতে অবরুদ্ধ অর্থ উপদেষ্টা: কী ঘটল
- ৩৫ ফুট গভীর নলকূপের পাইপে ২ বছরের শিশু
- পে-স্কেল পাশ কাটিয়ে আগে সচিবালয় ভাতা!
- আজকের সোনার বাজারদর: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
- পে-স্কেল নিয়ে উত্তেজনা: সবশেষ পরিস্থিতি কি?
- সারারাতেও মেলেনি সুখবর: শিশু সাজিদকে উদ্ধারের লড়াইয়ে নির্ঘুম হাজারও মানুষ
- চ্যাম্পিয়নস লিগ: Real Madrid CF vs Man City, যেভাবে দেখবেন
