মা ক'ব'রে, বাবা জেলে! যমজসহ ৩ বোনকে নিয়ে দিশেহারা শিশু সাজ্জাদ
গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার চিত্রাপাড়া গ্রামে বাস করেন ১৩ বছর বয়সী শিশু সাজ্জাদ মোল্লা। গত এক মাসে তার জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিসহ। একদিকে মা সাথী বেগমের মৃত্যুর শোক, অন্যদিকে বাবা জামাল মিয়ার কারাবরণ—এই দুই দুঃখভার নিয়ে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে সাজ্জাদ। তার দুটি যমজ বোন এখনো দুগ্ধপোষ্য, আর বাকি এক বোনও শিশু। এই পরিস্থিতিতে তিন বোনকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন সাজ্জাদ, খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তাদের।
জামাল মিয়া একজন দিনমজুর এবং সাজ্জাদ স্থানীয় এম এম খান উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। এক মাস আগে জামাল মিয়ার স্ত্রী সাথী বেগম একসঙ্গে দুই কন্যা সন্তান জন্ম দেন। তবে অল্প সময়ের মধ্যে সাথী বেগম মারা যান, আর তারপর থেকেই অসুস্থ মা ও চার শিশু সন্তানের দায়িত্ব একাই পালন করতে থাকেন জামাল মিয়া। কিন্তু তার দুর্ভাগ্য—গত ৮ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে কোটালিপাড়া থানা পুলিশ জামাল মিয়াকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরের দিন তাকে গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং সন্দেহভাজন হিসেবে শওকত আলী দিদার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলে পাঠানো হয়।
শিশু সাজ্জাদ কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার বর্ষিক পরীক্ষা সামনে। স্কুলে যেতে পারছি না, বই পড়তেও পারছি না। আমার ছোট দুই বোনের দুধের টাকা কে দেবে? আমাদের ঘরে এখন তিন দিন ধরে চুলা জ্বলে না। আশেপাশের লোকজন খাওয়ার কিছু দিচ্ছে, কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে? বাবাকে মিথ্যা মামলায় আটকানো হয়েছে, আমরা আমাদের বাবা চাই।”
জামাল মিয়ার ভাই মনির মিয়া বলেন, “আমার ভাই কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নয়। একসময় আমতলী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, তবে এখন তিনি রাজনীতি থেকে সরে এসেছেন। পুলিশ তাকে কেন এই মামলায় আটক করল, আমরা জানি না। তবে তার চারটি শিশু সন্তান এবং অসুস্থ বৃদ্ধা মায়ের দেখাশোনা করার কেউ নেই। আমি দ্রুত আমার ভাইয়ের মুক্তি চাই।”
প্রতিবেশী কাইয়ুম মিয়া বলেন, “জামাল রাজনীতির সঙ্গে কখনো জড়িত ছিলেন না। তাকে এমনভাবে গ্রেপ্তার করা সম্পূর্ণ অন্যায়। তার চার শিশু সন্তান ও অসুস্থ বৃদ্ধা মায়ের জন্য এখন কে দায়িত্ব নিবে? আমরা এলাকাবাসী তার মুক্তির দাবি জানাই।”
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি জামাল মিয়া ঢাকার তেজগাঁও থানা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তাকে ৮ নভেম্বর আটক করা হয় এবং পরদিন তাকে গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করে। সেখানে তাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।”
এখন সাজ্জাদ এবং তার তিন বোনসহ চারটি অসহায় শিশু বাবা-মায়ের অভাবে বিপর্যস্ত, আর জামাল মিয়ার ভাই ও এলাকাবাসী তার মুক্তির জন্য দাবি জানাচ্ছেন।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ১৮ ডিসেম্বরে পে-স্কেল ঘোষণা, যা জানা গেল
- সরকারি কর্মচারীদের পে-স্কেল আপডেট: অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক
- নবম পে-স্কেল: গেজেট নেই, ১৮ ডিসেম্বর নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
- অর্থ উপদেষ্টা কী বলছেন! পে-স্কেল বাস্তবায়নে নতুন মোড়
- নতুন পে-স্কেল আপডেট: গেজেট প্রকাশ নিয়ে যা ভাবছে সরকার
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: দ্বিগুণ হলো ভাতা
- পে-স্কেল কমিশনের রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষ; আসছে সুখবর!
- আইপিএল নিলাম ২০২৬: এখন পর্যন্ত দল পেলেন যারা, মুস্তাফিজের অবস্থান কি
- তিন ধাপে নবম পে-স্কেল: ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হচ্ছে
- নবম পে-স্কেল: সর্বশেষ অগ্রগতি জানাল পে-কমিশন
- Ipl Auction 2026: মুস্তাফিজের দিকে নজর ৫ দলের
- বাংলাদেশে আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
- আইপিএল ২০২৬ নিলাম: মুস্তাফিজ-রিশাদের অবস্থান
