স্বপ্নের যাত্রার দরজার দার প্রান্তে বাংলাদেশ

আলোচনা-সমালোচনার পাহাড় কাটিয়ে এখন ভারতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। লক্ষ্য বা স্বপ্ন একটাই, ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করা। যেখানে প্রাথমিক লক্ষ্য সেমিফাইনাল। আর সেই স্বপ্ন চাঙ্গা হয়ে উঠেছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে টাইগারদের দুর্দান্ত জয়ে।
মঙ্গলবার টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ভেন্যু হল ধর্মশালার সুন্দর এইচপিসিএ স্টেডিয়াম। চারিদিকে এত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে কেউ খেলার চেয়ে প্রকৃতিতে হারিয়ে যেতে চায়। এখানেই আফগানদের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের সাক্ষী ছিল টাইগাররা।
এই ম্যাচে বাংলাদেশ অনেক ফ্রন্ট থেকে খেলবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সঙ্গে শেষ তিনটি সাক্ষাতের দুটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে শফিউল ইসলামের অবিশ্বাস্য ব্যাটিং এবং ২০১৫ সালে রুবেল হোসেনের বোলিং টাইগারদের জন্য একটি বাড়তি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নামার আগে বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। যেখানে পেসার ও স্পিনার দুই বিভাগেই ছন্দে আছেন ক্রিকেটাররা। শেষ ম্যাচের একাদশে শুধু বোলাররাই নয়, মূল দলে জায়গা পাওয়ার অপেক্ষায় দলের বাইরের সবাই।
ব্যাটিং নিয়ে একটু চিন্তিত বাংলাদেশ। বিশেষ করে উদ্বোধন নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ হয়েছেন লিটন দাস। ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছেন না তানজিদ হাসান তামিম। তবে, বাকি ব্যাটসম্যানরা বেশ ভালো রান করায় টাইগাররা শুরুর ধাক্কা সামলাচ্ছে।
কিছুটা আত্মবিশ্বাস নিয়েই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। যেখানে ভালো পারফর্ম করলে স্বপ্নের পাল আরও বড় হাওয়া পাবে। অন্যদিকে, চাপের মুখে দীর্ঘ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে থাকবে ইংল্যান্ড। ফলাফল নিশ্চিত যে লড়াইয়ে কেউ কাউকে ছাড়বে না।
বাংলাদেশকে জিততে হলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু থেকেই ভালো খেলতে হবে। প্রথম ম্যাচে হেরে এমনিতেই চাপে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এই সুযোগ ব্যবহার করা উচিত. এছাড়াও ক্রিকেটাররা ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং এই তিন বিভাগেই ভালো পারফর্ম করতে পারলে আরেকটি বড় জয় পাওয়া যেতে পারে।
এই জয় টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডকে পুরোপুরি ব্যাকফুটে ফেলে দেবে। ওই দুটি ম্যাচই হারলে তাদের বাকি প্রায় সব ম্যাচই জিততে হবে, যা একেবারেই অসম্ভব। বলা যায় সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেবে ব্রিটিশরা।
দুই ম্যাচেই জয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়বে বাংলাদেশের। ফলে দলের পারফরম্যান্সের উন্নতি হবে। পরবর্তীতে সাত ম্যাচের মধ্যে চারটিতে জিতলে সেমিফাইনালে যেতে পারেন। সৃষ্টি হবে নতুন ইতিহাস। যা কালকের ম্যাচ জিতলে খুব সম্ভব।
বাকি ম্যাচে শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডসের মতো দলগুলো বাংলাদেশের জন্য সহজ টার্গেট হবে। এছাড়া ভারত বা পাকিস্তানের মতো যেকোনো দলকে হারানোর ক্ষমতা টাইগারদের আছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাকেও হারানো অসম্ভব নয়।
তাহলে গতকাল ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রায় আরেকটি রঙিন পাতা কি যোগ হলো? উত্তর জানা যাবে কাল ম্যাচের পর
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার বক্তব্য
- আলোচিত সেই বাবা-মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- নিজ অফিসেই শেষ গুলি, এএসপি আত্মহত্যার পেছনে যে কষ্টের গল্প বললেন ভাই
- এএসপি পলাশের আত্মহত্যা একদিন পর বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- হঠাৎ হামলা! পাকিস্তানের মিসাইলে কাঁপলো ভারতের ১৫ শহর
- দুই দিনের ছুটি বাতিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে
- হাসনাত আব্দুল্লাহ মারা গেছেন; গুজবের আসল সত্য জানুন এখনই
- এক বিছানায় দুই স্ত্রী নিয়ে থাকলে ইসলাম কী বলে
- পাকিস্তানের বিপক্ষে যুদ্ধে কত সৈন্য হারিয়েছে স্বীকার করল ভারত
- বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে যা চাইলো ডোনাল্ড ট্রাম্প
- কাশ্মীরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: পাকিস্তানের দাবি, ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত
- আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ঘিরে তোলপাড়, কী বলছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথে! কী বলছে সরকার
- নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশে ফেরা পিছিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া
- আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ যা জানাল সিইসি