ব্রেকিং নিউজ ; কোরিয়ায় বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী বিমানে আগুন

দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরের গিমহে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মঙ্গলবার রাতে একটি যাত্রীবাহী বিমানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং বিমানটির ১৭৬ আরোহীকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, বিমানটি রাজধানী সিউল থেকে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত বুসান শহরের গিমহে বিমানবন্দর থেকে হংকংয়ের উদ্দেশ্যে উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত ছিল। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিমানের পেছনের অংশে আগুন ধরে যায়। সুরক্ষা কর্মীরা দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং বিমানের ১৬৯ জন যাত্রী ও ৭ জন কেবিন ক্রুকে নিরাপদে নামিয়ে আনেন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ঘটনায় কোনো যাত্রী বা ক্রু আহত হননি।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই আগুনের ঘটনায় বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আগুনটি বিমানের পেছনের অংশে লেগেছিল, তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়নি।
এয়ার বুসান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং এই অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে। বিমানটি যখন আগুনে পুড়ছিল, তখন বিমানে মোট ১৭৬ জন আরোহী ছিলেন, যাদের মধ্যে ১৬৯ জন যাত্রী এবং ৭ জন কেবিন ক্রু ছিলেন।
এদিকে, মাত্র এক মাস আগে ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ সালে, দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে আরেকটি বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬ বিমানটি দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। বিমানটি অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং এতে ১৭৯ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। এই ঘটনা তদন্তে, বিমানটির উভয় ইঞ্জিনে হাঁসের দেহাবশেষ পাওয়া যায়, যা এটি আরও জটিল করে তোলে।
বিধ্বস্ত বিমানটির তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, উভয় ইঞ্জিনে বাইকাল টিলস প্রজাতির হাঁসের ডিএনএ পাওয়া গেছে। এই হাঁসগুলি শীতকালে দক্ষিণ কোরিয়ায় ছুটে আসে এবং এতে বিমান চলাচলে বিপদ তৈরি করতে পারে। তদন্তে আরও জানা গেছে, বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার ব্যবহার না করা এবং ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডারের শেষ ৪ মিনিটের রেকর্ডিং বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
এ ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যায় এবং বিমান চলাচলে আরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। বিমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে মূল্যায়ন ও পরিবর্তন আসতে পারে, যাতে যাত্রীদের নিরাপত্তা সর্বাধিক নিশ্চিত করা যায়।
এটি স্পষ্ট যে, বিমান চলাচল সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আরও গভীর পর্যবেক্ষণ ও সতর্কতা প্রয়োজন।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আলোচিত সেই বাবা-মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- নিজ অফিসেই শেষ গুলি, এএসপি আত্মহত্যার পেছনে যে কষ্টের গল্প বললেন ভাই
- এএসপি পলাশের আত্মহত্যা একদিন পর বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- হঠাৎ হামলা! পাকিস্তানের মিসাইলে কাঁপলো ভারতের ১৫ শহর
- দুই দিনের ছুটি বাতিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে
- হাসনাত আব্দুল্লাহ মারা গেছেন; গুজবের আসল সত্য জানুন এখনই
- এক বিছানায় দুই স্ত্রী নিয়ে থাকলে ইসলাম কী বলে
- কাশ্মীরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: পাকিস্তানের দাবি, ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত
- আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ঘিরে তোলপাড়, কী বলছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথে! কী বলছে সরকার
- নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশে ফেরা পিছিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া
- সরকারি চাকরিজীবীদের মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা চালুর উদ্যোগ
- হার্ট অ্যাটাক হওয়ার এক মাস আগে শরীর যে ৫টি সতর্ক সংকেত দেয়!
- আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ যা জানাল সিইসি
- সেনাপ্রধানের নামে ভুয়া দাবি: ব্যারিস্টার সুমনের মুক্তির আসল সত্য