সাকিব আল হাসানকে দেশে ফেরানোর এবং তার খেলায় অংশগ্রহণের বিষয়ে ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিবাদ ও কর্মসূচির আহ্বান দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সাকিবকে টেস্ট সিরিজে খেলতে না দেওয়ার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করছেন তার সমর্থকরা। তারা দাবি করছেন, সাকিবকে খেলার সুযোগ না দিয়ে দেশের ক্রিকেটের বিরুদ্ধে একটি বড় ধরনের অবিচার করা হচ্ছে, যা আইসিসির নিয়মের পরিপন্থী।

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, রাজনৈতিক কারণে যদি কোনো খেলোয়াড়কে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না দেওয়া হয়, তাহলে সেই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। সাকিবের ভক্তরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

ভক্তদের মতে, সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের নয়, বরং বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। তার বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপ দেশের ক্রিকেটের জন্য বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। তারা মনে করেন, সাকিবের মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে বাদ দেওয়া দেশের ক্রিকেটের সুনামকে ক্ষুণ্ন করবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্তরা তাদের হতাশা প্রকাশের পাশাপাশি সরাসরি আন্দোলনেরও ঘোষণা দিয়েছেন। তারা মিরপুর স্টেডিয়ামের আশেপাশে বিক্ষোভের আয়োজনের কথা বলছেন, যেখানে সাকিবকে ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হবে।

কিছু ভক্ত আইসিসির কাছে অভিযোগ জানাতে এবং সাকিবের পক্ষে অবস্থান নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা চান, আইসিসি এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সাকিবের অংশগ্রহণে বাধা দেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করুক।

ভক্তরা ফেসবুক, টুইটার এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তারা সাকিবের খেলার অধিকার নিয়ে পোস্ট, ভিডিও এবং প্রচার চালাচ্ছেন, পাশাপাশি বিসিবির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলছেন।

সাকিবের অনুপস্থিতি দেশের ক্রীড়াঙ্গনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে, যদি তিনি মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট খেলতে না পারেন, তবে তা বাংলাদেশের ক্রিকেটে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। এই পরিস্থিতিতে ভক্তদের আন্দোলন বিসিবির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যারা ইতোমধ্যে সমালোচনার মুখে রয়েছে।

সাকিবকে ফিরিয়ে আনার এই প্রচেষ্টা কোথায় গিয়ে শেষ হবে, তা বলা কঠিন। তবে ভক্তদের তৎপরতা এবং আইসিসিতে অভিযোগের সম্ভাবনা ভবিষ্যতে নতুন মোড় নিতে পারে।