নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নে অর্থ সংস্থান: তিন খাতে বড় সংস্কার আনছে সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্যমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে নতুন জাতীয় পে স্কেল বাস্তবায়নের জন্য অতিরিক্ত অর্থের সংস্থান সরকারের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে। তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার তিনটি মূল খাতে বড় ধরনের সংস্কার আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। অর্থ বিভাগের মতে, নতুন বেতন কাঠামো সরকারের ব্যয় বাড়ালেও, একই সঙ্গে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করে আয়ের প্রবাহও বাড়ানো হবে।
পে স্কেল নিয়ে অর্থ বিভাগের উদ্বেগ ও পরিকল্পনা
নতুন বেতন-ভাতা খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংস্থান নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় পে কমিশন এক ধরনের উদ্বেগে রয়েছে। তবে কমিশনকে দেওয়া অর্থ বিভাগের মত অনুযায়ী, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কারের মাধ্যমে অযৌক্তিক ব্যয় কমানো এবং আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে।
যে তিন খাতে বড় সংস্কার আসছে:
১. সরকারি পরিচালন কাঠামো পুনর্গঠন: পে স্কেল বাস্তবায়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকারি ব্যয় কাঠামোতে দক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
২. অভ্যন্তরীণ ঋণ ব্যবস্থাপনায় স্থিতিশীলতা: অভ্যন্তরীণ ঋণের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা, যাতে তারল্য বা সুদের বাজারে কোনো অস্থিরতা না আসে।
৩. অগ্রাধিকার ও বিনিয়োগের দক্ষতা বৃদ্ধি: রাষ্ট্রের অর্থের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারগুলো নতুন করে নির্ধারণ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দক্ষতা বাড়ানো।
বাড়তি অর্থের চাপ ও সংস্থান
নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নে যে বাড়তি অর্থের চাপ সৃষ্টি হবে, তা সামাল দিতে সরকার আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে:
* রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি।
* নন-ট্যাক্স রাজস্ব খাত সম্প্রসারণ।
অর্থ বিভাগ এই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে নজর দিয়ে তাদের কাজ শুরু করেছে।
অর্থের জোগান: ব্যয়ের প্রাক্কলন
চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বাবদ ৮৪ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা আছে।
* যদি বিদ্যমান কাঠামোর তুলনায় বেতন শতভাগ বৃদ্ধি পায়, তবে আগামী অর্থবছরে এ খাতে ব্যয় দ্বিগুণ হয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি হবে। অর্থাৎ, সরকারকে প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত অর্থের সংস্থান করতে হবে।
* যদি বেতন-ভাতা ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হবে ৬০ হাজার কোটি টাকা।
এই বিপুল পরিমাণ বাড়তি অর্থের জোগান সরকারি ব্যয় কাঠামোতে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করবে।
পটভূমি ও বাস্তবতা
দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির সংকটের মধ্যেই সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য পে কমিশন গঠন করা হয়েছে। যদিও সরকার সার্বিক ব্যয় কমাতে কৃচ্ছ্রসাধন কর্মসূচি পালন করছে, তবে বিগত ১০ বছরে (সর্বশেষ ২০১৫ সালে পে কমিশন গঠিত হয়) বেতন-ভাতার কাঠামো বৃদ্ধি না পাওয়ায় এটি একটি যৌক্তিক চাহিদা।
অর্থ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের মোট অনুমোদিত পদসংখ্যা ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি। এর মধ্যে বর্তমানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন। এছাড়াও, পেনশনারের সংখ্যা বর্তমানে ৮ লাখ ৩৫ হাজার ১৫ জন।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আশা প্রকাশ করেছেন, "নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নে অর্থের সমস্যা হবে না। চলতি সংশোধিত বাজেটে আংশিক বরাদ্দ রাখা হবে এবং নতুন বছরের শুরুতেই এটি বাস্তবায়ন হবে।"
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে-স্কেলে যোগ হলো কঠোর বিধান
- জানুয়ারি থেকেই নতুন পে-স্কেল কার্যকর!
- পে কমিশনে মতবিনিময় শেষ: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতন কত হল
- জাহান্নামমুখী ব্যাক্তির দুই রোগ লেগেই থাকে
- কঠোর সিদ্ধান্তে সেনাবাহিনী: ২৪ ঘণ্টা সব থানায় সেনা সহায়তার ঘোষণা
- নতুন পে-স্কেল: বেতন বাড়লেও বাড়ছে কর ও বাড়িভাড়া!
- চূড়ান্ত হলো পে-স্কেল ঘোষণার সময়: ডিসেম্বরের মধ্যে সুপারিশ
- কঠোর সিদ্ধান্ত নিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান
- যে চাকরি পাচ্ছেন বিয়ারিং পড়ে নিহত কালামের স্ত্রী
- সরকারি বেতনে বড় পরিবর্তন: সর্বোচ্চ ১.৫০ লাখ, সর্বনিম্ন ৩০ হাজার
- ফের কমেছে স্বর্ণের দাম, দেশে ভরি কত
- ডিসেম্বরে ঘোষণা হবে নতুন পে স্কেল!
- দাম কমে আজ থেকে স্বর্ণের নতুন দাম, ভরি কত
- নতুন পে-স্কেলে দ্বিগুণ বেতন, বাতিল হতে পারে যেসব সুবিধা
- আজ থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে সোনা, ভরি প্রতি ২২ ক্যারেটের দাম কত
