পে স্কেল বাস্তবায়নে ‘নতুন উৎস’ খুঁজছে সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। সম্প্রতি জাতীয় পে কমিশন এই বাস্তবায়ন এবং অর্থনৈতিক চাপ সামাল দেওয়ার বিষয়ে অর্থ বিভাগের কাছে মতামত চেয়েছিল। অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, নতুন পে স্কেল কার্যকর হলে সরকারের ওপর অবশ্যই বাড়তি অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি হবে, তবে এই চাপ মোকাবিলার জন্য তারা দুটি নতুন রাজস্ব আয়ের উৎস দেখছে।
নতুন আয়ের উৎস যা ব্যয় মেটাবে:
অর্থ বিভাগ মনে করছে, নতুন বেতন কাঠামোতে শুধু সরকারের ব্যয়ই বাড়বে না, বরং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আয়ের পরিমাণ বাড়লে দুটি প্রধান উৎস থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে, যা নতুন বেতনের বাড়তি সংস্থান দেবে:
১. সর্বনিম্ন বেতনধারীদের আয়কর: অর্থ বিভাগের মতে, সর্বনিম্ন বেতন সুবিধাভোগী কর্মচারীদের বেতন বাড়লে তাদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের আয়কর সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। এটি নতুন বেতন কাঠামোর জন্য প্রয়োজনীয় বাড়তি অর্থের একটি বড় জোগান দেবে।
২. সরকারি বাড়িভাড়া বৃদ্ধি: সরকারি কর্মচারীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সরকারি আবাসনে বসবাস করেন। বেতন কাঠামো সমন্বয়ের ফলে সরকারি বাসাবাড়ির ভাড়ার হার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়বে। এই উৎস থেকেও সরকারের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে।
বাস্তবায়ন ও সময়কাল:
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় বেতন কমিশন তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে চায়।
* কার্যকরের সময়: অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, নতুন বেতন কাঠামো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের মধ্যেই, অর্থাৎ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচনের আগেই গ্যাজেটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।
* অর্থ বরাদ্দ: নতুন পে স্কেল কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ চলতি (২০২৫-২৬) অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া হবে। বাজেট সংশোধন প্রক্রিয়া ডিসেম্বরে শুরু হবে।
বেতন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা:
অর্থ বিভাগ পে কমিশনকে জানিয়েছে, ২০১৫ সালের পর গত এক দশকে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়নি। যদিও প্রতি বছর ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়েছে, তবুও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বর্তমান বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। বিশেষ করে সর্বনিম্ন বেতনধারীরা জীবনযাত্রার মান বেড়ে যাওয়ায় কষ্টে আছেন।
পে কমিশন সভাপতি সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খান অর্থনৈতিক চাপের বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, সীমিত সম্পদের মধ্য থেকেই সর্বোচ্চ বেতন বাড়ানোর প্রস্তাবনা তৈরি করা হবে। মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার মান বিবেচনায় এবার বেতন বৃদ্ধির হার শতভাগ হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে-স্কেল কার্যকর হচ্ছে ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে
- নতুন পে-স্কেলের প্রতিবেদন জমা নিয়ে বেতন কমিশনের ঘোষণা
- আবারও টানা ৩ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবিরা
- পে-স্কেল ২০২৫: বার্ষিক ১০% বেতন বৃদ্ধি, ৩৫ হাজার টাকা সর্বনিম্ন বেতনের প্রস্তাব
- বাংলাদেশে বড় পতনের পর আজ সোনার ভরি কত
- সর্বোচ্চ বেতন ২ লাখ ২০ হাজার, সর্বনিম্ন ৪০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: আরও একটি লম্বা ছুটি আসছে
- পে স্কেলে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতন নিয়ে হঠাৎ নতুন প্রস্তাব
- নতুন পে স্কেলের খসড়া চূড়ান্ত, কোন গ্রেডে কত বাড়ল
- সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর; ডিসেম্বরেই নতুন পে-স্কেল
- নতুন পে-স্কেল: আরও ১০ সংগঠনের সঙ্গে বসছে জাতীয় বেতন কমিশন
- নতুন পে-স্কেল: চিকিৎসা ভাতা ৫০০০, শিক্ষা ভাতা ৩০০০ করার প্রস্তাব
- রেকর্ড পতনের পর আজ যে দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা
- শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না দেশের যেসব এলাকায়
- আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম
