শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর কখনো আওয়ামী লীগ মাথা তুলতে পারবে
-1200x800.jpg)
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হলে বা তাঁর অনুগত কিংবা বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ নেতৃত্বে এলে শত বছরেও আওয়ামী লীগ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।
সম্প্রতি সমকাল-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “অনেকে মনে করেন, শেখ পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এলে ভালো হবে। কিন্তু আমার মনে হয় না, তা সম্ভব। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আর শেখ পরিবারের নেতৃত্ব কাজে আসবে না।”
তবে তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগের কর্মীদের পছন্দের নেতৃত্ব যদি স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে, তাহলে দল আবার শক্তিশালী হতে পারে। সেই নেতৃত্ব নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, তবে মওলানা ভাসানী, শামসুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের কিছু নেতা মনে করছেন, শেখ হাসিনা দুই-এক মাসের মধ্যেই দেশে ফিরে আসবেন। এ প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “এটি সম্ভব, কারণ দুনিয়ায় অনেক কিছুই ঘটে। তবে আমার কাছে এটি অবাস্তব মনে হয়। অন্য কোনো দেশ শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান বানিয়ে দিতে পারে—এটি বিশ্বাস করা কঠিন।”
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা যদি অন্যায় স্বীকার করে ক্ষমা চান এবং সংশোধিত হন, তাহলে হয়তো আবার রাজনীতিতে ফিরতে পারেন। তবে তার জন্য দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে, অনেক কষ্ট সহ্য করতে হবে।
কাদের সিদ্দিকীর মতে, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার তিন বছর পর থেকেই দেশ, জনগণ ও বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির ক্ষতি করেছেন। এ কারণেই তিনি আওয়ামী লীগ ছেড়েছেন। তিনি বলেন, “আমার বোনের (শেখ হাসিনা) ভুলের কারণে আমরা আজ নিগৃহীত, অপমানিত ও লাঞ্ছিত। ১৬ বছর ক্ষমতায় থেকে তাঁর উচিত ছিল বঙ্গবন্ধুকে আরও জনপ্রিয় করে তোলা, তাঁর আদর্শকে ছড়িয়ে দেওয়া। কিন্তু তিনি তা করেননি, বরং মানুষকে অপমান করেছেন।”
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের অবমূল্যায়ন করেছেন। তোফায়েল আহমেদ, আবদুর রাজ্জাক ও ড. কামাল হোসেনকে বারবার ছোট করেছেন। এমনকি তাঁর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীকেও অপমান করেছেন, যাঁর মাধ্যমে তিনি রাজনীতিতে এসেছেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণ করবেন কি না’—এমন প্রশ্নের উত্তরে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “আমি কখনো নিজে থেকে কোনো কিছু চাইনি বা কারও দয়া নিতে চাই না। তবে মানুষের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব।”
বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা ও ভবিষ্যৎ রাজনীতি
বর্তমান সরকার দেশের পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক থাকলেও বুঝতে পারিনি, তিনি রাজনীতিতে এতটাই অনভিজ্ঞ।”
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা যদি সঠিক পথে না চলে, তবে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। পাশাপাশি, মুক্তিযুদ্ধকালীন অপরাধ স্বীকার না করা পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর ক্ষমতায় ফেরার সুযোগ নেই। বাংলাদেশিদের কাছে ক্ষমা না চাইলে তারা কখনোই শাসনক্ষমতায় আসতে পারবে না।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ছে, সর্বনিম্ন ৪ হাজার, সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৮০০ টাকা
- দাঁত ব্রাশ করার পরও মুখে দুর্গন্ধ! জেনে নিন ৬ সমাধান
- মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যার নতুন মোড়, বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য!
- এমন বৃষ্টি আর কতদিন চলবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ সিম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত
- নির্বাচন নিয়ে সিইসির সম্ভাব্য সময়সূচী
- প্রকাশ্যে পাথর মারার ঘটনায় ছাত্রদল নেতা রবিনের দায় স্বীকার, যা জানা গেল
- কত দিনের বাচ্চা নষ্ট করলে গুনাহ হয় না
- নৃশংস সেই ঘটনায় জড়িতরা শনাক্ত, মিলল ২ জনের পরিচয়
- আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশকে ভিসা দিবে ৬ দেশ!
- বাড়ছে ক্যানসার, যেসব লক্ষণ অবহেলা করলেই বিপদ
- ভারতীয় নার্স প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড, যা জানা গেল
- ধারের টাকা ফেরত পাচ্ছেন না! জেনে নিন কার্যকর কৌশল
- অবশেষে বিয়ে করছেন সালমান খান
- বাংলাদেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম কত