মাঠে তামিমের আচরণ নিয়ে যা বললেন সাব্বির

চট্টগ্রামে ফরচুন বরিশাল ও ঢাকা ক্যাপিটালসের ম্যাচের প্রথম দিনেই মাঠে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও সাব্বির রহমানের মধ্যে তীব্র বাক্য বিনিময় হয়, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। তবে সাব্বির রহমান এই ঘটনাটিকে বেশি গুরুত্ব না দিয়ে জানিয়েছেন, এটি মাঠের উত্তেজনার অংশ ছিল এবং তাতে কিছুই ব্যক্তিগতভাবে নেয়নি।
ঘটনাটি ঘটে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের নবম ওভারে, যখন তামিম ইকবাল ও ডেভিড মালান ব্যাট করছিলেন। সাব্বির রহমান যখন বাউন্ডারি লাইনের কাছে তামিমের একটি শট থামিয়ে ফেলেন, তখন তিনি বলটি উইকেটকিপার বা বোলারের কাছে না পাঠিয়ে সামনে ফেলে দেন। এই কাজটিকে ক্রিকেটে "ফেক ফিল্ডিং" বলা হয়, যা খেলার নিয়মের বাইরে। তামিম এই ঘটনাকে ভালোভাবে নেননি এবং সাব্বিরের দিকে তির্যক মন্তব্য ছুঁড়ে দেন।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তামিম উত্তেজিত কণ্ঠে সাব্বিরকে বলেন, "বেশি লাগতে যেও না সাব্বির, বেশি লাগতে যেও না।" সাব্বির তামিমের দিকে এগিয়ে গেলে, ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা দ্রুত এগিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং ফিল্ড আম্পায়াররাও ঘটনাটি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
ঘটনার পর সাব্বির গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "মাঠের ঘটনা মাঠেই শেষ হওয়া উচিত। তামিম ভাই আমার সিনিয়র এবং তিনি একজন অত্যন্ত সম্মানিত ক্রিকেটার। তিনি বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি। এটি হিট অব দ্য মোমেন্টের ঘটনা, আমি একে অন্যভাবে দেখছি না। আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো ছিল, আছে, এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।"
সাব্বির আরও বলেন, "ক্রিকেট মাঠে উত্তেজনা একটি স্বাভাবিক বিষয়, তবে তা কখনোই ব্যক্তিগত সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলে না।"
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা নিয়ে নানা ধরনের মতামত প্রকাশিত হয়েছে। কেউ তামিমের আচরণকে সমালোচনা করেছেন, আবার কেউ সাব্বিরের ফেক ফিল্ডিংয়ের চেষ্টা নিয়ে মন্তব্য করেছেন। অনেকেই তামিমের সিনিয়র অবস্থান ও অভিজ্ঞতার কারণে তার আরও সংযত হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন।
তবে সাব্বির তার বক্তব্যে তামিমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও প্রশংসা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "তামিম ভাই বাংলাদেশের ক্রিকেটের একজন অনন্য কিংবদন্তি। আমি তাকে সম্মান করি, এবং আমাদের সম্পর্ক দুর্দান্ত।"
এছাড়া, সাব্বির বিশ্বাস করেন যে, মাঠের উত্তেজনা অনেক সময় স্বাভাবিক, তবে এটি কখনোই মাঠের বাইরে ব্যক্তিগত সম্পর্কের উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে না। সিনিয়র ও জুনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সমঝোতা বজায় থাকলে দলীয় স্পিরিটও শক্তিশালী হয়। তামিম এবং সাব্বিরের মধ্যে সম্পর্ক ভবিষ্যতে তাদের পারফরম্যান্সে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও আশা করেন তিনি।
এই ঘটনা ক্রিকেট মাঠে উত্তেজনা ও খেলার নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেছে, পাশাপাশি এটি দুই ক্রিকেটারের সম্পর্কের গভীরতা এবং পেশাদারিত্বের পরিচায়ক।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার বক্তব্য
- আলোচিত সেই বাবা-মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- নিজ অফিসেই শেষ গুলি, এএসপি আত্মহত্যার পেছনে যে কষ্টের গল্প বললেন ভাই
- এএসপি পলাশের আত্মহত্যা একদিন পর বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- হঠাৎ হামলা! পাকিস্তানের মিসাইলে কাঁপলো ভারতের ১৫ শহর
- দুই দিনের ছুটি বাতিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে
- হাসনাত আব্দুল্লাহ মারা গেছেন; গুজবের আসল সত্য জানুন এখনই
- এক বিছানায় দুই স্ত্রী নিয়ে থাকলে ইসলাম কী বলে
- পাকিস্তানের বিপক্ষে যুদ্ধে কত সৈন্য হারিয়েছে স্বীকার করল ভারত
- বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে যা চাইলো ডোনাল্ড ট্রাম্প
- কাশ্মীরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: পাকিস্তানের দাবি, ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত
- আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ঘিরে তোলপাড়, কী বলছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথে! কী বলছে সরকার
- নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশে ফেরা পিছিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া
- আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ যা জানাল সিইসি