‘মীর মুগ্ধ নামে কেউ মারা যায়নি’ কিংবা ‘মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি’

মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ, ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের এক বীর শহীদ, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে, "মীর মুগ্ধ নামে কেউ মারা যায়নি" এবং "মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি"। তবে, এই দাবিটি ভুয়া বলে জানানো হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পরিচালিত ফ্যাক্ট-চেকিং ফেসবুক পেজ (CA Press Wing Fact-Check) এর মাধ্যমে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে পেজটির এক পোস্টে জানানো হয়, গত ১৮ জুলাই উত্তরার আজমপুরে বিক্ষোভকারীরা পিপাসার্ত হয়ে পড়লে মুগ্ধ তাদের জন্য পানি ও খাবার নিয়ে সাহায্যের জন্য ছুটে যান। মৃত্যুর ১৫ মিনিট আগে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি বিক্ষোভকারীদের পানির বোতল ও বিস্কুট বিতরণ করছেন। বিকেল ৫টার দিকে উত্তরার আজমপুর মোড়ে রাস্তার পাশে অবস্থানকালে তাকে গুলি করা হয়। গুলি তার কপাল ভেদ করে মাথার ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর তাকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পোস্টটিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মুগ্ধর শাহাদাত বরণ এবং তার আগের ঘটনাগুলো বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ২৯ জুলাই দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “মুগ্ধ ২০২৩ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতে স্নাতক শেষ করেন। ঢাকায় ফিরে মার্চ মাসে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) ভর্তি হন এবং প্রফেশনাল এমবিএ করছিলেন। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংও করতেন।” প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, "১৮ জুলাই উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান মুগ্ধ। সেদিন তিনি বিইউপির আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, এবং গুলি লাগার পর আইডি কার্ডের ভেতরে রক্ত ঢুকে যায়। তার পরিবার সদস্যরা এই রক্তমাখা কার্ডটি সেভাবেই রেখেছেন।"
গত ২৭ জুলাই দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, “মুগ্ধ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।” প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মুগ্ধের জন্ম উত্তরায় ১৯৯৮ সালে এবং তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তিনি তার যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধের সঙ্গে ছিলেন। প্রতিবেদনটিতে আরও নিশ্চিত করা হয় যে, মুগ্ধের দাফনকার্য উত্তরাতেই সম্পন্ন হয়।
এটি স্পষ্ট যে, মুগ্ধের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রচেষ্টা মূলত হত্যাকারীদের পক্ষ থেকে, যা বিচার থেকে বাঁচতে এবং জুলাই-আগস্ট বিপ্লবকে হেয় প্রতিপন্ন করার একটি জঘন্য পদক্ষেপ।
আপনার ন্য নির্বািত নিউজ
- আখেরি চাহার সোম্বা সরকারি ছুটি
- একশনে নামবে সেনাবাহিনী যে ঘোষণা দিলেন সেনাপ্রধান
- নিজের পদত্যাগের সময় জানালেন ড. ইউনূস
- ১৬ বছরের হারানো ক্ষমতা ফিরে পাচ্ছে সেনাবাহিনী
- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইলেন শেখ হাসিনা
- সারাদেশে ভাইরাস জ্বর; দ্রুত সেরে ওঠার ৫ উপায়
- ১২০ টাকায় ব্রাজিলের গরুর মাংস আমদানি
- দেশের বাজারে আজ স্বর্ণের দাম কমলো
- আজকের বাজার দর: চাল, ডাল, পেঁয়াজসহ সব পণ্যের দাম
- পূজায় আসছে শেখ হাসিনা
- স্বর্ণের দাম: জেনে নিন আজকের বাজার দর
- বিয়েতে রাজি ছিলেন না মুনমুন
- বাংলাদেশে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয়
- দেশের বাজারে আজকের স্বর্ণের দাম
- মাউশির নতুন নিয়ম: এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন যেভাবে