ডিপ ফ্রিজ খুলে হাত-পা বাঁধা মায়ের মরদেহ দেখলেন ছেলে, তারপর যা হল

বগুড়ার ধুপচাঁচিয়া উপজেলায় এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর ১টার মধ্যে দুর্বৃত্তরা উম্মে সালমা (৪৭) নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করে তার মরদেহ ডিপ ফ্রিজে রেখে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর ডিপ ফ্রিজ থেকে তার হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেন এবং তা হাসপাতালে পাঠান।
এ ঘটনায় পুরো এলাকা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। পুলিশ জানায়, বিকেল ৩টা নাগাদ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করতে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়, পরে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত উম্মে সালমা দুপচাঁচিয়া ডিএস ফাজিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ আজিজার রহমানের স্ত্রী। তার স্বামী আজিজার রহমান দুপচাঁচিয়া উপজেলা মসজিদের খতিব এবং ইমাম-মুয়াজ্জিন সমিতির সভাপতির দায়িত্বেও আছেন। এছাড়া তিনি ‘আজিজিয়া হজ কাফেলা’ নামে একটি ব্যবসার মালিক।
হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ঘরের ভেতর অগোছালো অবস্থা এবং মেঝেতে একটি কুড়াল পড়ে রয়েছে। এছাড়া আলমারির উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটার চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতি করার জন্য আলমারি কাটা চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে, প্রাথমিকভাবে জানা যায় যে, কোনো মালামাল লুট করা হয়নি।
উম্মে সালমার ছেলে সাদ বিন আজিজার (২৪) জানায়, দুপুর ২টার পর বাড়িতে ফিরে তিনি প্রধান ফটক তালাবদ্ধ দেখতে পান। বিকল্প চাবি দিয়ে ভেতরে ঢুকে ঘরটি এলোমেলো দেখতে পান। এরপর ডিপ ফ্রিজের দিকে চোখ পড়লে, সেটি ঠিকমতো বন্ধ ছিল না বলে মনে হয়। ফ্রিজ খুলে দেখেন, সেখানে তার মায়ের হাত-পা বাঁধা মরদেহ রয়েছে।
সাদ সাংবাদিকদের জানান, তার মা বাইরে গেলে প্রায়ই তালা দিয়ে যান এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য বিকল্প চাবি রেখেও যান। সাদ সে চাবি দিয়েই তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন।
নিহত উম্মে সালমার স্বামী, মাদরাসা শিক্ষক আজিজার রহমান, জানান, তার ধারণা, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে। ডাকাতরা আলমারি কেটে টাকা-পয়সা বা স্বর্ণালংকার লুট করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হয়নি।
ঘটনার সময় বাড়ির প্রথম তলায় থাকা প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, তারা কোনো শব্দ বা চিৎকার শোনেননি। তবে, ঘটনার পর পুরো এলাকা শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। দুপচাঁচিয়া নাগরিক কমিটির সভাপতি আব্দুল বাছেদ বলেছেন, "এভাবে দিনের বেলায়, এমনকি এক ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের বাড়িতে এ ধরনের নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটানো সত্যিই উদ্বেগজনক। আমরা দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।"
পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহের ময়নাতদন্তের পর এটি নিশ্চিত করা যাবে, তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে যে, উম্মে সালমার গলায় কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তদন্তে এও জানা গেছে যে, হত্যাকাণ্ডের পর কিছু মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যায়নি।
এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে সব দিক থেকে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- পায়খানার রাস্তার লোম কাটা জায়েজ কিনা
- সহবাসের পর বীর্য বাইরে ফেললে গুনাহ হয় কি
- দেশে জ্বালানি তেলের দাম নতুন করে নির্ধারণ
- বাংলাদেশের বাজারে আজ ১ ভরি সোনার দাম
- কোন রক্তের গ্রুপে গরম বা শীত বেশি লাগে
- বাংলা ১০ সিনেমায় বাস্তবেই সহবাস করতে হয়েছে নায়ক-নায়িকাদের
- অবশেষে ভারতীয় ভিসা নিয়ে এলো বড় সুখবর!
- নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকিতে বাংলাদেশ!
- মৃত্যুর আগে মানুষ যে স্বপ্ন বার বার দেখে
- চাকরিতে থাকা বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বড় সুখবর
- অবশেষে বাংলাদেশকে সুখবর পাঠাল ভারত
- ইরানের জন্য নতুন দুঃসংবাদ
- আবারও ইসরায়েলে হামলা
- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হতে পারে বিকট শব্দ, যা জানা গেল
- তীব্র শব্দে কেঁপে উঠলো ইরান, যা জানা গেল