সাকিব আল হাসানকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার অবিশ্বাস্য সিদ্ধান্ত, চারিদিকে ব্যাপক আলোচনার ঝড়
ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের জন্য সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না। ৩৭ বছর বয়সী এই তারকাকে ব্যাটিং এবং বোলিং উভয় ক্ষেত্রেই বেশ সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই তার একাদশে সুযোগ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এর মধ্যেই সাকিব টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেট থেকেও বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে শেষবারের মতো টেস্ট খেলবেন তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের দীর্ঘ ১৮ বছরের লড়াকু এই সৈনিককে আর কখনো টি-টোয়েন্টিতে দেখা যাবে না।
বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারের অবসরের ঘোষণায় তার ভক্তরা শোকাহত, ক্রীড়াপ্রেমীদের মনেও বেদনা বইছে। সাকিব তার অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে এক প্রেস কনফারেন্সে বলেন, "আমার মনে হয়, টি-টোয়েন্টিতে আমি শেষ ম্যাচটি ইতিমধ্যেই খেলেছি। যদি মিরপুরে (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) খেলতে পারি, তবে সেটাই হবে আমার শেষ টেস্ট।"
তবে দেশে ফেরা নিয়ে সাকিবের কিছু সমস্যা রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত এক মামলায় তিনি অভিযুক্ত। দেশে ফিরলে গ্রেপ্তার বা হয়রানির শঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে সাকিব বিসিবির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এবং দেশে ফেরার কিছু শর্তও দিয়েছেন। তিনি বলেন, "আমি যেন নিরাপদে দেশে ফিরতে এবং খেলতে পারি, এবং দেশের বাইরে যেতে হলে কোনো সমস্যায় না পড়ি, সে বিষয়টি বোর্ড দেখছে। যারা এই প্রক্রিয়ায় জড়িত, তারা আমার জন্য একটি সিদ্ধান্ত নেবেন, যাতে আমি টেস্ট ফরম্যাটটা সুন্দরভাবে ছেড়ে যেতে পারি।"
দেশের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, "আমি মনে করি, দেশের মাটিতে সমর্থকদের সামনে টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করাই যথাযথ হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে, তাই আমি ঘরের মাঠেই শেষটা করতে চাই। মিরপুরে আমার শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছা বিসিবিকে জানিয়েছি। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে ভারতের কানপুরে খেলা ম্যাচটিই হবে আমার শেষ টেস্ট।"
সাকিব তার অবসর এবং দেশে ফেরা নিয়ে বিসিবির সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, "আমি এখনো অ্যাভেইলেবল আছি, তবে দেশে কিছু পরিস্থিতি আছে যা আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। আমি বিসিবিকে আমার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছি। আমি মনে করেছিলাম, এই সিরিজ ও ঘরের মাঠের সিরিজটি হবে আমার শেষ, বিশেষ করে টেস্টে।"
প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও ক্রীড়া উপদেষ্টা খুব স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশ সরকার থেকে পরিস্কার বার্তা রয়েছে যে সাকিবের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো নিয়ে তাকে অন্যায়ভাবে হয়রানি করা হবে না। সরকার তাদের অবস্থান সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নবম পে-স্কেল আসছে ৩ ধাপে, বেতন পাবেন জানুয়ারি ২০২৬ থেকে
- ৭০ সচিবের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত হলো নবম পে-স্কেলের রূপরেখা
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ল সর্বোচ্চ ৭,৮০০ টাকা, সর্বনিম্ন ৪,০০০: মহার্ঘ ভাতায় বড় পরিবর্তন
- নবম পে-স্কেলের চূড়ান্ত সুপারিশ কবে; যা জানা গেল
- নবম পে স্কেলের সুপারিশ আসছে ডিসেম্বরে: শেষ পর্যন্ত বেতন বাড়ছে কত
- পে স্কেল: ডিসেম্বরেই চূড়ান্ত সুপারিশ! যে গ্রেড ভাঙছে কমিশন
- আল্টিমেটামের শেষ দিন আজ: পে-স্কেল রিপোর্ট জমা নিয়ে যা জানা গেলো
- নবম পে স্কেলে ৩-৪ গুন বেতন বৃদ্ধি না করার প্রস্তাব
- পে-স্কেলের সুপারিশ নিয়ে ৭০ সচিবের মতামত চুড়ান্ত: পে কমিশনের সর্বশেষ পদক্ষেপ
- নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা
- সরকারের যে দুই উপদেষ্টা বিএনপির হয়ে ভোটে লড়বেন
- যেসব খাবার খেলে পুরুষের শুক্রাণু কমে, তালিকা দেখুন
- ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, বাংলাদেশ বনাম চীনের ম্যাচ
- সারাদেশে বৃষ্টির আভাস
- পে স্কেলের সুপারিশ নিয়ে কমিশনের সর্বশেষ পদক্ষেপ যা জানা গেল
