চলতি সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত। মার্কিন ডলারও স্থিতিশীল রয়েছে। মার্কিন ট্রেজারি ফলনও কমেছে। ফলে সেফ হেভেন মেটালের দাম বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে যোগ করা হয়েছে যে বিনিয়োগকারীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও অর্থনৈতিক তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছে। কারণ দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ এর ভিত্তিতে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেবে। এর আগে, মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের ফলন কমে গিয়েছিল। ফলে শক্তিশালী হয়েছে বুলিয়ন বাজার।

এ প্রেক্ষাপটে শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের দাম কিছুটা বেড়েছে। দাম প্রায় ২১৯৫ ডলার প্রতি আউন্স দাঁড়িয়েছে। ২২ মার্চ এটি ২১৬৭ ডলার এ পৌঁছেছে। এইভাবে, মূল্যবান ধাতুর দাম ২৮ ডলার বেড়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৩,০৭৪ টাকা।

বিশ্ববিখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান টেস্টিলাইভের বৈশ্বিক সামষ্টিক অর্থনীতির প্রধান ইলিয়া স্পিভাক বলেন, সুদের হার কমানোর আভাস দিয়েছেন ফেডের নীতি-নির্ধারকরা। তবে বিশ্বব্যাপী এখনও ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগ রয়ে গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বিদ্যমান। তাতে স্বর্ণ সমর্থন পাচ্ছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির মূল্য বাড়তি রয়েছে।

গত সপ্তাহে ফেড সংকেত দেয়, ২০২৪ সালে তিনবার সুদের হার কমাতে পারে তারা। এরপর থেকেই প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলার চাপে পড়েছে। একই সঙ্গে স্বর্ণের বিশ্ববাজারে ঔজ্জ্বলতা বেড়েছে। বিদায়ী ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে পিসিই মূল্য সূচক শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। উৎপাদন ব্যয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি চড়া রয়েছে। তবু সুদের হার হ্রাসের ইঙ্গিত দিয়েছে ফেড। ফলে স্বর্ণের দাম বাড়ছে।