২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ভরাডুবির পরে, অনেকেই ভেবেছিলেন যে বাংলাদেশ ক্রিকেট কেন এমন করেছে তা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড হয়তো অনেক বড় উদ্যোগ নিতে পারে। সবাইকে দেখানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড রিপোর্ট জমা দেয় এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নেয় না, এটা শুধু সময় নষ্ট করে যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য নেতিবাচক এতে করে ক্রিকেটের উন্নতি হবে না.। বাঙালি জাতি আবেগপ্রবণ জাতি, নতুন ইস্যু এলে পুরনো বিষয় ভুলে যায়, আর সেই সুযোগ নিয়ে ক্রিকেট বোর্ডও তদন্ত থেকে সরে আসছে।

ক্রিকেট বোর্ডের কাজ কী, তার কাজ শুধু ক্রিকেটারদের বেতন দেওয়া আর কিছু নয়। বাঙালি জাতি একটি ক্রিকেট পাগল জাতি এবং ক্রিকেট বোর্ড বাঙালি জাতির আবেগকে কাজে লাগিয়ে একটাই কাজ করে। তবে এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বাজে বাংলাদেশ খেলেছে এই বছর বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম, যদিও ২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সব ম্যাচ হেরেছিল এবংসব দলগুলোর কাছে। এমনকি কানাডাও কাছেও হেরেছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড হয়তো মনে করতে পারে যে এইবার ২০২৩ সালে তারা দুটি দলের কাছে জিতেছে তাই তারা ২০০৩ সালের চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করেছে । তারা হয়ত বুঝতে চেয়েছে বাংলাদেশ দল খুব ভালো করেছে, কিন্তু এই বিশ্বকাপের পতনের দায় কে নেবে। ২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পরাজয়ের পর, ক্রিকেট বোর্ড নড়েচড়ে বসেছিল এবং স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য এবং সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন করার জন্য একটি বোর্ড গঠন করে।

সেই রিপোর্টের পর আমরা দেখেছি বাংলাদেশ দল অনেক উন্নতি করেছে। কিন্তু এবার প্রত্যাশিত রিপোর্টের কথা বলছে না বিসিবি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই পতনের পর বিসিবির শীর্ষ কর্মকর্তারা কোনো কথা বলছেন না, কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না, এর জন্য কমিটি গঠন করেছেন বা কাজ করছেন এমন কোনো ইঙ্গিত নেই, মিডিয়ার সামনে তারা আসছেন না। কেন এই লুকোচুরি, কেন ক্রিকেট নিয়ে ভাবছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড?

অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নাজমুল হাসান পাপন বিষয়টিতে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না কারণ হিসেবে হয়তো আসন্ন নির্বাচন হতে পারে, কিন্তু আমরা মনে করি বাংলাদেশ ক্রিকেটের পথপ্রদর্শক নাজমুল হাসান পাপন তিনি ক্রিকেটকে অনেক ভালোবাসেন তিনি কেন সময় ক্ষেপন করছে । তাই প্রশ্ন থেকে যায় কেনই বা কারা এই ক্রিকেট বিশ্বকাপের ব্যর্থতা ঢাকতে চায়? কারণ বাংলাদেশে এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ব্যর্থতা বা বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না ক্রিকেট বোর্ড।

বিষয়টিকে হালকাভাবে নিলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ক্ষতি হবে। এদেশের মানুষ এই ইস্যু থেকে অনেক দূরে সরে গেলেও অনেক নতুন ইস্যু থাকায় তারা বাংলা ক্রিকেটের ব্যর্থতা প্রায় ভুলেই গেছে। জাতির জন্য ক্রিকেট বোর্ডের উচিত দ্রুত একটি কমিটি গঠন করা যার মাধ্যমে তারা রিপোর্ট নিয়ে কাজ করবে। এবং বোর্ড কীভাবে ক্রিকেটের উন্নতি করবে তা নির্দেশ করার জন্য সেই বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করুন। শুধু রিপোর্ট জমা দেওয়াই যথেষ্ট নয়, সেগুলি প্রকাশ করা উচিত যাতে বিষয়টি স্বচ্ছ হয়।

কয়েকদিন পরেও ক্রিকেট বোর্ড সভা ডাকেনি। একটি অভ্যন্তরীণ বোর্ড গঠন করা উচিত ছিল এবং সমস্যাটি তাড়াতাড়ি মোকাবেলা করার জন্য ঘন ঘন বৈঠকের জন্য আহ্বান করা উচিত ছিল। আমরা নিশ্চিত যে ক্রিকেট বোর্ড এখন এটি করবে না, তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আরও কিছু করতে পারে বা নাও করতে পারে, এটি খুব ভালভাবে করা যেতে পারে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশের কোচ হাতুরা সিং ও খালিদ সুজন প্রত্যেকে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। প্রত্যেকেই তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তাভাবনা করে প্রতিবেদন দাখিল করার কারণে ওই প্রতিবেদনটি ভিন্ন ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। যেহেতু প্রত্যেকে বিভিন্ন প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, তাদের মতামতও ভিন্ন হবে, তা ইতিবাচক বা নেতিবাচক হোক, কারণ এটি একজন ব্যক্তির মতামত।

উদাহরণস্বরূপ, কোচ হাতুর সিং মনে করতে পারেন যে তার আসার পর থেকে বাংলাদেশ দল অনেক উন্নতি করেছে এবং তিনি এই বিশ্বকাপকে ব্যর্থতা হিসাবে বিবেচনা করেন না, তিনি মনে করেন যে বাংলাদেশ দল ভাল করেছে এবং অন্যদের পক্ষে, সাকিব আল হাসান বলতে পারেন যে। বাংলাদেশ ক্রিকেট ভালো করেছে এবং আগের বিশ্বকাপের থেকে ভালো করেছে। আমরা যদি পার্থক্য করি, আমরা দেখতে পাব যে বাংলাদেশ অতীতেও তাই করেছে। খালিদ মাহমুদ সুজন তিনিও এমন কিছু বলতে পারেন যে বাংলাদেশ ভালো বা খারাপ করেছে আসলে আমরা জানি না রিপোর্টটা কি বা ক্রিকেট বোর্ড আমাদের রিপোর্ট এখনো দেখায়নি আমি চাই সেই রিপোর্ট সামনে আসুক এবং ক্রিকেট বোর্ডের কাজ করা উচিত। এটা তাদের ক্রিকেটের ভালোর জন্য।

বিসিবির উচিত বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক কোচ ও বিসিবি কমিটির প্রধানের দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় নিয়ে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সে বিষয়ে স্পষ্টতা আনা।